আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসকনের (ISKCON)একাধিক সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (Bangladesh) দায়ের হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। অ়ভিযোগ, জাতীয় পতাকার অবমাননা। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরগরম। শুরু হয়েছে ধরপাকড়। অনেকেই পলাতক।
অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। গত ২৫ অক্টোবর লালদীঘি ময়দানে সনাতনী সমাবেশের দিন ওই পতাকার ওপর ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা স্থাপন করে দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপরধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার তথা রাষ্ট্রদ্রোহ কাজ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণিবিদ্বেষ ছড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করা হয়েছে।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে (৩৮) প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ আছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মহ. তারেক আজিজ বলেন, ‘ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার কাজ চলছে।
ভিডিও বার্তায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী বলেছেন, এ মামলা সনাতনীদের ৮ দফা দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা। গত ৫ আগস্টের পর সনাতনীদের ওপর চালানো হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন। এই আন্দোলন বর্তমান সরকার কিংবা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। আমরা নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে নয়। আমরা এই বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে চাই না, আমরা এই দেশের ভূমিপুত্র।