বাংলাদেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ২৫ বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে বিখ্যাত শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠান। পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তায় রবীন্দ্রনাথ প্রবর্তিত গ্রামীণ অর্থনীতিতে সমবায় ব্যবস্থা ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রচলনে বিশ্বজনীন মডেলের বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তাঁর সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর রচিত গান ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা।
পঁচিশে বৈশাখের বার্তায় শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তিনি তৎকালীন পূর্ববঙ্গে আবির্ভূত হয়েছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবে। তাঁর জমিদারির দরিদ্র প্রজাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, সমবায়নীতি ও কল্যাণবৃত্তি চালু করে তাদের ভেতর প্রণোদনা জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। তাঁর প্রবর্তিত সমবায় ব্যাংক, ক্ষুদ্র ঋণের প্রচলন পরবর্তীকালে গ্রামীণ উন্নয়নে একটি মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের তিনি একান্ত আপনজন। শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে অবস্থানকালে এসব অঞ্চলের মাটি ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শিলাইদহ ও পতিসর অঞ্চলেই তিনি রচনা করেছিলেন ছিন্নপত্রর সিংহভাগ এবং অসামান্য কিছু গান।’
শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় সংস্কৃতির বহুত্ববাদ, বৌদ্ধ ধর্মের অহিংস মতাদর্শ, ইসলাম ধর্মের সুফিবাদ এবং বাংলার বাউলদের ভাববাদী চেতনার সমন্বয় সাধন করে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেন।