রবিবার কোটা বাতিল? রক্তাক্ত বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ

সরকারি পদে সংরক্ষণ রাখার যে রায় হাইকোর্ট দিয়েছিল তার জেরে রক্তাক্ত সময় পার করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। কোটা সংস্কারের দাবি করা পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন…

Political unrest Bangladesh

সরকারি পদে সংরক্ষণ রাখার যে রায় হাইকোর্ট দিয়েছিল তার জেরে রক্তাক্ত সময় পার করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। কোটা সংস্কারের দাবি করা পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে শতাধিক নিহত। বাংলাদেশ অস্থির। চলছে কারফিউ। পড়ুয়াদের আন্দোলন গণবিদ্রোহে পরিণত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উগ্র ইসলামি সংগঠনগুলি সরকার বিরোধী অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিল। সেই ছক আপাতত ভেঙে দেওয়া গেছে বলেই বাংলাদেশ সরকার মনে করছে।

AFP জানাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা রবিবার মুখ খুলতে পারেন বলেই ইঙ্গিত। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশী দূতাবাসগুলোকে ব্রিফ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রক।

   

বিশেষ সূত্র ধরে Kolkata 24×7 জেনেছে, রাষ্ট্রদূতদের উপস্থিতিতে ওই সাংবাদিক সম্মেলনে রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরির পিছনে জামাত ইসলামি, হেফাজতে ইসলামসহ উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা তুলে ধরা হবে।

বিবিসি জানাচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেয়ে গেছে বাংলাদেশ সরকার। ঝু়ঁকি এড়াতে সুপ্রিম কোর্চের রায় ঘিরে বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে হাসিনার সরকার। রবিবার ও সোমবার বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবিসি আরও জানাচ্ছে, অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুদ্দিন মানিক জানান,সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বজায় রাখার হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইবে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের দিন ধার্য হয়েছে রবিবার। আদালতে বাংলাদেশ সরকার ৮০ শতাংশ কোটা তুলে দেওয়ার দাবি করবে। তবে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চ সরকারের কাছে গুলি চালানোর জবাবদিহি চেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই বলেছেন, ধৈর্যের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষা করুক পড়ুয়ারা। জাতির উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণের পরেই বাংনাদেশে হিংসা ছড়ায়।

VOA জানাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ছাত্র বিক্ষোভ সমর্থক পড়ুয়াদের আন্দোলন ভাঙতে আওয়ামী লীগ মাঠে নামিয়েছিল ছাত্র লীগকে। তবে প্রত্যাঘাতের ধাক্কায় ছাত্র লীগ বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কার্যত ভ্যানিশ।

জানা যাচ্ছে,সংঘর্ষের সুযোগে পড়ুয়াদের মধ্যে কোটা বিরোধী অবস্থান থেকে সরকার পতনের বার্তা ছড়ায় উগ্র ধর্মীয় সংগঠনগুলো। এবার সুপ্রিম রায় ঘিরে কোনওরকম অশান্তি রুখতে মরিয়া হাসিনা সরকার। বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, গুজব রুখতে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থারবে ইন্টারনেট পরিষেবা