বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট (ডিপ্লোম্যাটিক লাল রঙের পাসপোর্ট) বাতিল হচ্ছে। বাংলাদেশ পাসপোর্ট দফতর সূত্রে এই খবর জানা যাচ্ছে। এর ফলে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) কূটনীতিক্ত তকমা হারাবেন। তাঁকে ভারতে কী অবস্থানে রাখা হবে তা নিয়ে চিন্তিত মোদী সরকার খুঁজছে পথ। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হন।
হাসিনা জমানার পতনের পর বাংলাদেশে চলছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ছাত্র আন্দোলনের মঞ্চ থেকে বার্তা দেওয়া হয়, অবিলম্বে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে গণহত্যার মামলায় বিচার শুরু করতে হবে। শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে সরকারের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। গত জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষন নিয়মের সংস্কার চেয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের অভিযোগ, আন্দোলন দমনে ততকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। নিহত বহু। শেখ হাসিনাকে গণহত্যাকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গণহত্যায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনার মুখোমুখি জবাবদিহি চায় রাষ্ট্রসংঘ, মোদীকে ইঙ্গিত বার্তা
গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতন হতেই শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টের অধিকারী। বিবিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী কূটনাতিক পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস ভিসা ছাড়া ভারতে অবস্থান করতে পারবেন। সেই পাসপোর্ট বাতিল হবে।
পলাতক হাসিনার ঘনিষ্ঠ পাপন মৃত্যুভয়ে লুকিয়ে, গোপন ডেরা থেকে বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ
বাংলাদেশ পাসপোর্ট দফতর জানিয়েছে,শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হলে তাঁকে যে স্ট্যাটাসে রেখেছে মোদী সরকার তাতে ধাক্কা লাগবে। কারণ তিনি আর কূটনৈতিক সুবিধা পাবেন না। একের পর এক হত্যাকান্ড মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা। কূটনাতিক লাল পাসপোর্টধারী যাদের নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা আছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। আদালতের আদেশ পেলেই মিলবে সাধারণ পাসপোর্ট।