বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি (Sheikh Hasina) নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। দলের তরফে প্রার্থীপদের জন্য মনোনয়ন ফর্ম কিনেছেন তিনি।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। ভোটে অংশ নিতে সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি শুরু করল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফর্ম বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই তিনি বলেন, ভোটের মাধ্যমে দেশে সরকার পরিবর্তন হবে।
কেন এমন বললেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা? এমন প্রশ্ন দ্রুত বাংলাদেশ জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিল। জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতি বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ফের আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সরকার গড়ার সম্ভাবনা। যদি অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি সরাসরি ভোটে নামে তবে তারাই সংসদে প্রধান বিরোধীপক্ষ হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি আর সেই মর্যাদা পাবে না। তবে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীন ভোটে অনড়। তারা নির্বাচন দিন বয়কট করেছে। দলনেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ ও দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন।
এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার দাবি ‘সরকার পরিবর্তন হবে’ নিয়ে ঢাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার উত্তরসূরীর বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সত্তরোর্ধ শেখ হাসিনার পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এক্ষেত্রে চর্চিত। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিচালনা করেন। তবে হাসিনার বোন শেখ রেহানার উত্তরসূরীদেরও বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন দলীয় দফতরে মনোনয়ন ফর্ম কিনে শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন বানচালে অগ্নিসন্ত্রাসের পরিণতি ভালো হবে না। ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।