ফাগুন হাওয়াতেই কালবৈশাখীর (Kalbaisakhi) হানা ! এখনও বৈশাখ আসতে দেরি আছে। তবে বৈশাখের আগেই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপর আছড়ে পড়ছে কালবৈশাখী। সীমান্তেের ওপার এপারে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানাচ্ছে, চৈত্রের প্রথম দিন আগামী ১৫ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে দেশব্যাপী শক্তিশালী কালবৈশাখীর আশঙ্কার কথা জানাচ্ছে বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ। আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে শক্তিশালী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত। বাংলাদেশের সর্বত্র কালবৈশাখী হবার সম্ভাবনা আছে। জমি থেকে যত দ্রুত সম্ভব আলু তুলে নিতে বলা হয়েছে। কালবৈশাখীর কারণে বিভিন্ন নদ নদীতে নৌ যান চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়ার অধিদফতরের আবহবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বাংলাদেশি আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ১৫ মার্চ বিকেলের পর থেকে ১৬ মার্চ সকাল ৮টার মধ্যে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি। ১৬ মার্চ কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় প্রবাহিত হতে পারে। সম্ভাব্য এই ঝড় ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কালবৈশাখীর গতিপথ পশ্চিমবঙ্গের দিকে ঘুরবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা থেকে বার্তা, কালবৈশাখীর দাপট দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গা লাগোয়া ও সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলিতে।
চলতি সপ্তাহে রাজ্যে কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে জানিয়েছে। কলকাতা এবং সংলগ্ন অঞ্চলে, আগামী বুধবার থেকে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।