ঢাকায় সম্প্রতি আদিবাসী শিক্ষার্থীদের (Adivasi students) উপর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান (Jaya Ahsan) । ঘটনার সূত্রপাত নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত একটি চিত্রকর্ম মুছে ফেলার প্রতিবাদ থেকে। এই দাবিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা ঢাকার পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল ।
ঢাকার মতিঝিল এলাকায় একই সময়ে সেখানে হাজির হয় ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ (Muslim student organization) নামে একটি মুসলিম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ঘটে বাদানুবাদ। এর পরেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের (Adivasi students) ওপর হামলা চালায় ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ সদস্যরা। এই হামলায় কমপক্ষে ১১ জন আদিবাসী ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার পর আক্রমণকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। জয়া আহসান (Jaya Ahsan) তার ফেসবুকে একটি পোস্টে এই হামলার নিন্দা জানান। তিনি লেখেন, ‘‘’আদিবাসী’ নাগরিকদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যেভাবে রক্তাক্ত করা হলো, সেটা মর্মান্তিক। এই রক্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জখম আত্মা থেকেই বের হলো। কারণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আদিবাসীরাও শরিক হয়েছিল।’’
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী (Jaya Ahsan) আরও লেখেন, ‘‘একদিকে আমরা সংবিধানের বৈষম্য দূর করতে চাচ্ছি, অন্যদিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা করছি। আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো? এ দেশ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হোক’’
জয়ার (Jaya Ahsan) পোস্টে একাধিক মন্তব্য আসে। কেউ তাকে সমর্থন করেছেন, আবার কেউ তার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একজন মন্তব্য করেন, ‘‘এতদিন কোথায় ছিলেন, যখন আন্দোলন শুরু হয়েছিল? আজ এখন কেন এই পোস্ট দিলেন?’’ অন্য একজন লেখেন, ‘‘আপনি আদিবাসী শব্দটা ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ বাংলাদেশে আদিবাসী শব্দের কোন পরিচিতি নেই।’’
এই মামলায় পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত দুইজন—আরিফ ও আব্বাস—কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের ওসি মেজবাহ উদ্দিন জানান, ‘‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পুরো বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’’