Hero Alom: গণপিটুনি খেয়েও হিরো আলম সরকারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী! ঢাকার উপনির্বাচনে চমকদার ফল

বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয় সংসদের ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে বহু ভোটে হারলেও হিরো আলমই (Hero Alom) সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এলেন।…

বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয় সংসদের ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে বহু ভোটে হারলেও হিরো আলমই (Hero Alom) সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এলেন। যদিও ভোট চলাকালীন গণপিটুনি খেয়ে তিনি পালিয়ে বাঁচেন। পরে ক্ষোভ দেখিয়ে ভোট প্রত্যাখ্যান করেন। এদিকে ঢাকা-১৭ আসনের ভোট ফলাফলে চমকপ্রদ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, নিবন্ধিত কোনও দল নয়, নির্দল হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার হিরো আলম।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে ঢাকা ১৭ আসনে জয়ী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এই দলের মহম্মদ এ আরাফত পেয়েছেন ২৮ হাজারের কিছু বেশি ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্দল হিরো আলম। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজারের কিছু বেশি ভোট।

নির্বাচনী বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের জয় ছিল প্রত্যাশিত। তবে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কোনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয় বরং হিরো আলম সরাসরি আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এলেন। এই ফলাফল বেশ চমকপ্রদ। উপনির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। শাসকদল আওয়ামী লীগ, সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ছাড়া বাকিরা হলো জাকের পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট। আর দুই নির্দল প্রার্থী। মূল বিএনপি দল ভোট বয়কট করেছে।

উপনির্বাচনটি হয়েছে ঢাকা ১৭ আসনের সাংসদ অভিনেতা ফারুকের মৃত্যুর কারণে। এই উপনির্বাচনে হিরো আলম অংশ নেন। সোমবার ভোট চলাকালীন ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানীর একটি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে গণপিটুনি খান হিরো আলম। তাঁকে মারধরে অভিযুক্তরা শাসকদল আওয়ামী লীগের যুব ও ছাত্র শাখার কর্মী বলে অভিযোগ। গণপ্রহার থেকে বাঁচতে প্রার্থী পালাচ্ছেন এমন ছবি বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তীব্র বিতর্ক তৈরি করেছে। অস্বস্তিতে শাসকদল আওয়ামী লীগ। বিশ্বজুড়ে ছড়ানো হিরো আলমের ভক্তরা প্রবল সরব। গণপিটুনি খেয়ে ভোট প্রত্যাখ্যান করেন হিরো আলম।

আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম গত কয়েকটি নির্বাচনে বাংলাদেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্দল হিসেবে লড়াই করছেন। তাঁকে বাংলাদেশ যুব সম্প্রদায়ের একটি অংশ ভোট দিচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি জয়ের মুখ দেখেননি।

নেই কোনও সংগঠন। নেই তেমন কোনও প্রচার অভিযান। ইউটিউব ভিত্তিক কৌতুক অভিনয়ের জনপ্রিয়তা সম্বল করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে চলতি ধারার পরিবর্তন আনতে চান হিরো আলম, এমনই জানিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে নামছেন বারবার। বলছেন গণতন্ত্রের সাহায্যে কিছু সাধারণ কথা বলতে চাই। বিভিন্ন ভোটে একাধিকবার তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। আদালতে নিজেকে যোগ্য প্রার্থী প্রমাণ করে ভোটে লড়াই করতে নামেন হিরো আলম। জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে ভোটের ময়দানে পড়ে থাকছেন তিনি। এবার দিলেন চমক।