Bangladesh: রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্ত চিন্ময়কৃষ্ণের জেল, বাংলাদেশের আদালতেই খুন সরকারি আইনজীবী

বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায়  জেলে বন্দি। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে তার জামিন নাকচ হয়। শুরু…

ISKCON-Chinmoy-Krishna

short-samachar

বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায়  জেলে বন্দি। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে তার জামিন নাকচ হয়। শুরু হয় বিক্ষোভ। বিবিসি’র খবর, ওই ধর্মীয় নেতার  মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে চট্টগ্রামের এক সরকারি আইনজীবী নিহত হয়েছেন।

   

চট্টগ্রাম পুলিশ জানায়, ইসকনের অনুসারীরা আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করেন। তখন  আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। এরপর তাকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাইফুলকে কুপিয়ে জখম করে ইসকন সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মোক্তার উদ্দিন সাগর নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমার চোখের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারীদের একটি দল।

বিবিসির খবর, সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর জামিন আবেদন ঘিরে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়ে অন্তত ২০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে।

অভিযোগ ২৫ আগস্ট চট্টগ্রামে এক সমাবেশে  চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকায় গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন। চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর বাংলাদেশ ইসকন শাখা উদ্বিগ্ন। যদিও জানা যাচ্ছে, চিন্ময়কৃষ্ণ ইসকন থেকে বহিষ্কৃত। ইসকনের তরফে বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিন্ময়কৃষ্ণর মুক্তি চাওয়া হয়।