Mocha Cyclone: মোকায় তছনছ বাংলাদেশ উপকূল, মধ্যরাত পর্যন্ত মায়ানমারে ঘূর্ণি তাণ্ডব

ঘূর্ণিঝড় মোকার (Mocha Cyclone) তাণ্ডবে বাংলাদেশের (Bangladesh) চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিনে ধংসের ছবি উঠে আসছে। লণ্ডভন্ড পরিস্থিতি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী নেমেছে বিশেষ অভিযানে।

Advertisements

আন্তর্জাতিক সৈকত শহর কক্সবাজারে ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান। জেলার আরও ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। এই ঘূর্ণিঝড়ে টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শুধু সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ১২০০ ঘরবাড়ি ভেঙেছে। 

    মোকা তাণ্ডবে মায়ানমারে ভয়াবহ পরিস্থিতি

বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি এসে মোকা ঘূর্ণি মায়ানমারের দিকে চলে যায়। এ দেশের রাখাইন রাজ্য সবথেকে বড় ক্ষতিগ্রস্থ। রবিবার বিকেলে রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় শহর সিত্তের কাছে ভূমি স্পর্শ করার পরে, ঘূর্ণিঝড় মোকার আঘাতে শহরজুড়ে বাড়িঘর, ভবন, একটি মোবাইল টাওয়ার এবং ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত।

Advertisements

জলোচ্ছ্বাস শহরের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য উপকূলীয় শহরেও অনেক রাস্তা এবং আবাসিক এলাকা প্লাবিত করেছে। জোয়ার অব্যাহত থাকায় সিত্তের অনেক বাসিন্দা আটকে পড়েছেন। বিকেলের পর থেকে মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

মোকা মধ্যরাত পর্যন্ত রাখাইনে থাকবে। মায়ানমারের  আবহাওয়াবিদ ইউ উইন নাইং তাঁর সামাজিক নেটওয়ার্কে এমনই লিখেছেন। তিনি সতর্কতা দেন ঘূর্ণিঝড় মোকা রাতে আরও ক্ষতি করবে।

ইউ উইন নাইং বলেন, “ঝড়ের লেজ আরও শক্তিশালী।এটি প্রায় ১০০ মাইল পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। ঝড়ের ঢেউয়ের উচ্চতা দশ ফুটের বেশি হতে পারে। এই পরিস্থিতি মধ্যরাত পর্যন্ত যেতে পারে।

উদ্ধারকারী দলগুলি জানিয়েছে যে তারা বন্যা এবং বাতাসের শক্তি উভয়ের কারণে বাড়িঘর এবং পরিকাঠামোর বড় ক্ষতির আশঙ্কা। মায়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাখাইন উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ১২০ মাইল বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে এবং জোয়ার-ভাটা ২০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে।