Bangladesh: আজব ‘ভালো কাজের হোটেল’ পেট ভরাচ্ছে বহু মানুষের

জনচঞ্চল মহানগরী ঢাকা। বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী রাজপথের ধারে সার সার মানুষ নিশ্চিন্তে খান। এই হোটেল একদমই আজব। খেতে গেলে একটিই শর্ত, কোনও ভালো কাজ করেছেন?…

জনচঞ্চল মহানগরী ঢাকা। বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী রাজপথের ধারে সার সার মানুষ নিশ্চিন্তে খান। এই হোটেল একদমই আজব। খেতে গেলে একটিই শর্ত, কোনও ভালো কাজ করেছেন?

নন্দিত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় ভবঘুরে চরিত্র হিমু কি এমন হোটেলের আসে পাশে ঘোরাঘুরি করে? এখানে কি ভবলেশহীন নীরব মনস্তাত্ত্বিক মিসির আলিকে দেখা যায়? জীবদ্দশায় এমন ‘ভালো কাজের হোটেল’ দেখলে হুমায়ূন আহমেদ কী লিখতেন?  এ প্রশ্ন নেটিজেন মহলে ছড়াচ্ছে। 

দিনে একটি ভালো কাজ, তার বদলে মিলবে একবেলা পেট ভরে খাবার। এমনই ৫টি ‘ভালো কাজের হোটেল’ রয়েছে বাংলাদেশে। যেখানে হত দরিদ্র মানুষদের ভালো কাজের বিনিময়ে এক বেলার খাবার জোটে। বাংলাদেশে একটি সংস্থা রয়েছে যারা নিত্যদিন দরিদ্র মানুষদের একটি ভালো কাজের বিনিময়ে এক বেলা পেট ভরে খাবার খাওয়ান। তার নাম ‘ভালো কাজের হোটেল’।

প্রতিদিন আড়াই হাজার মানুষকে তারা পেট ভরে খাবার খাওয়ান। নিত্যদিন বহু হতদরিদ্র মানুষ সেখানে খাওয়ার জন্য ভিড় জামায়। এবং সারাদিন পরে পেট ভরে খাবার খায়। প্রতিষ্ঠানের সদস্য সাকিব হাসান জানিয়েছেন, “ভালো কাজগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আমাদের আছে। কারণ খিদার যন্ত্রণা থেকে মূলত খারাপ কাজগুলো শুরু হয়। তাই মানুষদের খিদার যন্ত্রণা কমিয়ে তাদের ভালো কাজের দিকে ধাবিত করাই আমাদের ‘ভালো কাজের হোটেলে’র প্রধান উদ্দেশ্য”।

এই হোটেলের সঙ্গে প্রায় দুই হাজার সদস্য রয়েছে। তারা মাসে ৩০০ টাকা করে দান করে। এই টাকা দিয়ে খাবার কেনা ও তৈরি করার কাজ করা হয়। ২০২০ সালের আগে বাংলাদেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করতেন। এরপর করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের পর দারিদ্র সীমা আরো বেড়েছে।

গোটা বাংলাদেশ জুড়ে বহু অসহায় দরিদ্র মানুষ রয়েছে যাদের এক বেলার খাবার পর্যন্ত জোটে না। যার ফলে তারা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। এই অসামাজিক কাজ রুখে সৎ পথে মানুষদের খাবার যোগানোর এই নতুন প্রচেষ্টা নজিরবিহীন।