Bangladesh: মারতে এলে হাত ভেঙে দিতে হবে বললেন শেখ হাসিনা, চরম অস্থিরতা ঢাকায়

সরাসরি বিরোধীদের রাজনৈতিক হুমকি বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনার। হাত ভেঙে দেওয়ার বার্তা দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা ক্ষমতাসীন দল (Awami League) আওয়ামী লীগের…

hasina

সরাসরি বিরোধীদের রাজনৈতিক হুমকি বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনার। হাত ভেঙে দেওয়ার বার্তা দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা ক্ষমতাসীন দল (Awami League) আওয়ামী লীগের সুপ্রিমো। আগামী ১০ ডিসেম্বর (Dhaka) ঢাকায় অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির (BNP) সমাবেশের আগেই চরম আক্রমণাত্মক হাসিনা। তাঁর মন্তব্যের পর আরও গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

  • বিএনপির ঢাকা সমাবেশ ঘিরে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে চলছে চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা।
  • প্রবল রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কায় ঢাকার সর্বত্র চলছে নাকা চেকিং।
  • এই আবহে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য ‘হাত ভেঙে দিতে হবে’ আরও উত্তেজনা বাড়িয়ে দিল।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি। ১৯৭৫ সাল থেকে আমরা মার খেয়ে আসছি। এখন আর মার খাওয়ার সময় নেই। যে হাত দিয়ে আমাদের মারতে আসবে, সে হাত ভেঙে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসে না। রাস্তা দখল করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। অনেকে বিএনপিকে তেল মারছে। এত তেল মারা কিসের জন্য। কত তেল আছে, আমি তাদের দেখব।

শেখ হাসিনার এই মন্তব্যকে হুমকি বলেই মনে করছে বিএনপি। শনিবার ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামলে জনসভা করতে অনড় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (BNP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই সমাবেশ উপলক্ষে বুধবার প্রচার চলাকালীন বিএনপি সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গুলিতে এক বিএনপি সমর্থকের মৃত্যু ও কয়েকজন জখম হয়েছেন। তীব্র বিশৃঙ্খলার পরিবেশ দেখে চরম আতঙ্ক ছড়ায়। ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলি চিন্তিত।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও দনীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের একের পর এক বিভাগে বিপুল জমায়েত করেছে বিএনপি। আর ১০ ডিসেম্বর তাদের ঢাকা বিভাগ জমায়েত। এই জমায়েতের স্থান হিসেবে ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের অংশকে বেছে নিয়েছে বিএনপি। তবে ঢাকা মহানগর প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ সরকার এখানে সভার অনুমতি দেয়নি। আর বিএনপি নয়াপল্টনেই সভা করতে অনড়।