Bangladesh: পুলিশ হেফাজত থেকে পলাতক জঙ্গিরা অধরা, প্রবল বিতর্কে হাসিনা সরকার

ঢাকা মহানগর পুলিশের হেফাজত থেকে পালানো ফাঁসির আসামী দুই জঙ্গি এখনও অধরা। ভারতে ঢোকার ছক দুই বাংলাদেশি (Bangladesh) জঙ্গির। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (BGB) বিশেষ সতর্ক…

Top news, Bangladesh, Dhaka, Red Alert, Sheikh Hasina, Indian border, Militant escape

ঢাকা মহানগর পুলিশের হেফাজত থেকে পালানো ফাঁসির আসামী দুই জঙ্গি এখনও অধরা। ভারতে ঢোকার ছক দুই বাংলাদেশি (Bangladesh) জঙ্গির। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (BGB) বিশেষ সতর্ক নিতে বলা হয়েছে। পালানোর এক দিন পরেও জঙ্গিরা অধরা। প্রবল বিতর্কে শেখ হাসিনার সরকার।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি দ্রুত ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই তাদেরকে ধরতে পারব। তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেই জন্য আমরা সীমান্ত এলাকাগুলোতে সতর্কতা নিয়েছি।

রবিবার ভিড়ে ঠাসা ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের চোখে স্প্রে ছিটিয়ে দুই মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনটি। পলাতক দুই জঙ্গির নাম আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব এবং মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান। এরা দুজনই ২০১৫ সালে ঢাকার যুক্তিবাদী প্রকাশনী জাগৃতি’র প্রকাশক আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে খুন করায় জড়িত। তৎকালীন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) সংগঠনটি বর্তমান আনসার আল ইসলাম টিম নামে পরিচিত।

দুই জঙ্গিকে বাইকে চাপিয়ে নিয়ে যায় এক যুবক। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই বাইক চালককে চিহ্নিত করতে মরিয়া ঢাকা মহানগর পুলিশ। এভাবে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রবল বিতর্কের মুখে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন ও শেখ হাসিনার সরকার।

বাংলাদেশে পুলিশের কব্জা থেকে আগেও জঙ্গি পালিয়েছে। ২০১৪ সালে ময়মনসিংহে পুলিশের ভ্যানে হামলা করেছিল জেএমবি জঙ্গিরা। হামলা চালিয়ে সংগঠনের শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনকে ছিনিয়ে নেয় তারা। সেই থেকে নিখোঁজ জেএমবি সংগঠনের প্রধান সালাউদ্দিন সালেহীন। সে বর্তমানে সংগঠনটির ভারতীয় শাখা জেএমআই প্রধান। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহর (এখন পূর্ব বর্ধমান জেলা) লাগোয়া খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ তদন্তে উঠে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গের জমি ব্যবহার করে বাংলাদেশে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশি জঙ্গি কমান্ডার সালাউদ্দিন সালেহীন।
এবারেও পলাতক দুই ফাঁসির আসামি আনসার উল ইসলাম জঙ্গি গোপনে ভারতে ঢুকতে পারে এমনই আশঙ্কা। এই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য যুক্তিবাদীরা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে যারা লেখালেখি করেন তাদের খুন করা। এই জঙ্গি সংগঠনটির শাখা পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আগেই জাল বিছিয়েছে।

  • আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনটির পুরনো নাম আনসরুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)
  • জঙ্গি সংগঠনটির একটি শাখা পশ্চিমবঙ্গে জাল বিছিয়েছে আগেই
  • পশ্চিমবঙ্গেরও কয়েকজন যুক্তিবাদীর নাম আছে তাদের তালিকায়
  • বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির কয়েকজন আগেই পশ্চিমবঙ্গে ধৃত

চিরুনি তল্লাশি, গোপন সূত্র ধরে খবর নেওয়া, সীমান্তে কড়া নজরদারি সবই চলছে। ফাঁসির আসামি দুই পলাতক জঙ্গির সর্বশেষ সিসিটিভি ফুটেজ ধরে চলছে তাদের পরবর্তী গতিবিধির সন্ধান। দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলেই ২০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে। এমনই জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আনসার আল ইসলাম সংগঠনের মূল চাঁইয়ের নাম মেজর জিয়া। সে বাংলাদেশ সেনার বরখাস্ত হওয়া অফিসার। পরে জঙ্গি হয়। তারই নির্দেশে সংগঠনটি যুক্তিবাদীদের খুন করে। দীপন খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে নাম মেজরর জিয়া আছে। তবে সে আত্মগোপনে। বাকি যে কয়েকজন ধৃত তারাও মৃত্যুদণ্ডের আসামি।