করতোয়া তীরে কান্না, সার সার শিশুর দেহ, মন্দিরে যেতে গিয়ে নৌকাডুবি বাংলাদেশে

শারদোৎসব শুরুর আনন্দে মশগুল ছিল সবাই। মহালয়ার দিন মন্দিরে যেতে গিয়ে ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সব আনন্দ শেষ। করতোয়া নদীতে (Karatoya River) নৌকা তলিয়ে…

IMG 20220925 WA0059 করতোয়া তীরে কান্না, সার সার শিশুর দেহ, মন্দিরে যেতে গিয়ে নৌকাডুবি বাংলাদেশে

শারদোৎসব শুরুর আনন্দে মশগুল ছিল সবাই। মহালয়ার দিন মন্দিরে যেতে গিয়ে ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সব আনন্দ শেষ। করতোয়া নদীতে (Karatoya River) নৌকা তলিয়ে (Ferry Accident) যায়। রবিবার দুপুরের পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) পঞ্চগড় জেলা (Panchagarh District) থেকে আসছে বহু মৃত্যুর সংবাদ। ডুবে যাওয়া অন্তত ১২ শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ২৪ জন।

IMG 20220925 WA0055 করতোয়া তীরে কান্না, সার সার শিশুর দেহ, মন্দিরে যেতে গিয়ে নৌকাডুবি বাংলাদেশে

   

করতোয়া নদীর তীরে সার সার দেহ। শিশুদের দেহগুলি পরপর রাখা ছিল। সেই দৃশ্য দেখে শিউরে যান স্থানীয়রা। পরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের তরফে দেহগুলি স্খানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কপতোয়ার তীরে কান্না। শারদোতসবে বিষাদ সুর।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও রয়টার্সের খবর, নৌ দুর্ঘটনা ঘটে করতোয়া নদীতে। রবিবার সনাতন হিন্দুরা মহালয়া উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলার বরদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। নৌকায় ছিল ধারণ ক্ষমতার বেশি ভিড়। মাঝ নদীতে অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নৌকাটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়।

IMG 20220925 WA0054 করতোয়া তীরে কান্না, সার সার শিশুর দেহ, মন্দিরে যেতে গিয়ে নৌকাডুবি বাংলাদেশে

স্থানীয়রা জানান, নৌকাটি ডুবছে দেখে করতোয়ার দুই পারে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে উদ্ধারে নামেন। ডুবে যাওয়া নৌকার বেশকিছু যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠে আসেন। কিন্তু শিশুরা ডুবে যায়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন উদ্ধার অভিযানে নামে। রবিবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর সন্ধে পর্যন্ত ২৪ জনের দেহ উদ্ধার হলেও আরও অনেক যাত্রী নিখোঁজ।

ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনা। বাংলাদেশে বিষাদ। আরও পড়ুন।

Bangladesh: মহালয়ায় মর্মান্তিক নৌকাডুবি, মন্দিরে যেতে গিয়ে বহু মৃত্যু বাংলাদেশে

পঞ্চগড়ের জেলাশাসক মহ. জহিরুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের মধ্যে ১২জন শিশু। ফায়ার সার্ভিসের অভিযান শেষ হলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা জানানো যাবে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মৃতদের সৎকারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার এবং আহতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার করে টাকা প্রদানের ঘোষণা করা হয়