Bangladesh: অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি নিয়েই চলছিল বিপুল ব্যবসা, ঢাকায় ছাই হাজার কোটির সম্পত্তি

পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার জুড়ে হাহাকার চলছে। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। আসন্ন ঈদ উৎসবের আগে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জনবহুল বঙ্গবাজারের আগুন নিমন্ত্রণে এসেছে। এই বিরাট…

পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার জুড়ে হাহাকার চলছে। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। আসন্ন ঈদ উৎসবের আগে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জনবহুল বঙ্গবাজারের আগুন নিমন্ত্রণে এসেছে। এই বিরাট অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে হাজার কোটির বেশি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে আগুনে মানুষে লড়াই চলছিল। বেলা গড়িয়ে দুপুরে অবশেষে নিভল আগুন।

   

বাংলাদেশে কাপড়ের অন্যতম প্রধান ব্যবসায়িক কেন্দ্র ঢাকার বঙ্গবাজার। সেখানে ভয়াবহ আগুন লাগার সাড়ে ছ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ মাইন উদ্দিন। 

তিনি জানান, ২০১৯ সালে বঙ্গবাজারকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে। ভবনে একটি সতর্কতা ব্যানা  টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কমপক্ষে ১০ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সেসব উপেক্ষা করেই ব্যবসা চলছিল। তিনি আরও জানান, আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পুরোপুরি তদন্তের পরই আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাবে।

বঙ্গবাজার ভস্মীভূত। ভয়াবগ অগ্নিকাণ্ডের ছবি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে।  আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, বঙ্গবাজারের খুব কাছে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের দফতর। তবুও আগুন নেভাতে গড়িমসি হয়েছে। অগ্নিকান্ডের সময় উত্তেজিত স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস বিভাগে হামলা চালায়। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তিনি জানান, একটানা ৪৮টি ইউনিট কাজ করেছে। এছাড়া স্থলসেনা, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনী নেমেছিল আগুন নিয়ন্ত্রণে।

বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড আসন্ন ঈদের আগে বিপুল ক্ষতির সামনে ফেলে দিল ব্যবসায়ীদের। পুড়ে যাওয়া বাজারের ধোঁয়ায় মিশছে চোখের জল।