ইলিশের দাম কেজিতে ৭০০ টাকা রাখতে সুপ্রিম আপিল

ইলিশে আগুন! ক্রেতাদের জিভে ছ্যাঁকা লাগছে। দুর্গোৎসবের মাসে আগুনে ইলিশের (Hilsa) কিছুটা জল ঢেলে পকেট ঠাণ্ডা করার সুপ্রিম কোর্টে আপিল গেল। হই হই পড়ে গেছে…

hilsa ইলিশের দাম কেজিতে ৭০০ টাকা রাখতে সুপ্রিম আপিল

ইলিশে আগুন! ক্রেতাদের জিভে ছ্যাঁকা লাগছে। দুর্গোৎসবের মাসে আগুনে ইলিশের (Hilsa) কিছুটা জল ঢেলে পকেট ঠাণ্ডা করার সুপ্রিম কোর্টে আপিল গেল। হই হই পড়ে গেছে বাজারে। বাংলাদেশেই (Bangladesh) ইলিশ অগ্নিমূল্য। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ইলিশের আগুন আরও ছ়ড়িয়েছে।

প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রিমূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনি নোটিশ দিয়েছেন আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। এই নোটিশে আছে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার পর্যবেক্ষণ করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

   

নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রফতানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রফতানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯০০ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের।

বাংলাদেশের রফতানি নীতি ২০২১ ও ২০২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রফতানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রফতানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রফতানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রফতানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল।

নোটিশে আরও আছে ভবিষ্যতে যে কোনো দেশে ইলিশ মাছ রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রফতানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১২০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকায় টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রফতানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মায়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মায়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়।

আপিল নোটিশে আছে, বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়। এটি লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে হবে।

ইলিশ মাছ বঙ্গোপসাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন পদ্মা নদীতে আসে তখন ইলিশ মাছ পদ্মা নদীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট।