সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে গণবিক্ষোভ চলছে বাংলাদেশে। এই বিক্ষোভের মূল স্লোগান এখন ‘সরকারের পতন চাই’। শনিবার বিক্ষোভকারীরা অসহযোগ আন্দোলন থেকে ঘোষণা করে, অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। তাদের এই দাবির পর বিশেষ বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠক শেষে তিনি ঘোষণা করেছেন ‘জনগণের পাশে থাকবে সেনা’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশ থেকে সরে গেল সেনা? উঠছে এমনই প্রশ্ন। জুলাই মাসে রক্তাক্ত কোটা আন্দোলন থেকে নাশকতা ছড়িয়ে অভ্যুত্থান ঘটানোর দাবি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। জামাত ইসলামি ও তাদের ঘনিষ্ঠদের মদতে আন্দোলনের সুযোগে নাশকতা রুখতে সেনা নামিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এবার কোটা আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে সেনাপ্রধান জনগণের পক্ষ নিলেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) সেনাসদরের ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণের আস্থার প্রতীক। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।’
সেনাপ্রধানের বার্তা বাংলাদেশ সেনার জনসংযোগ বিভাগ থেকে প্রচারিত হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
এর আগে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সেনা জানিয়েছিল, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।