ইলেকট্রনিক্স জগতে প্রাণ হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor)৷ সেই সেমিকন্ডাক্টর জগতে এবার ভারত রাজ করতে চলেছে৷ এমনই আভাস দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)৷ তিনি বলেছেন, আসামে টাটা গ্রুপের (Tata Group) সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট (Semiconductor Plant) দেশীয়ভাবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিদিন ৪.৮৩ কোটি চিপ তৈরি করবে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং টাটা সন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন মরিগাঁও জেলার জাগিরোডে ২৭,০০০ কোটি টাকার সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদন এবং পরীক্ষামূলক প্ল্যান্টের ভূমিপূজান করেছেন। এই প্রকল্পটি ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছিল।
তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
বৈষ্ণব বলেন, প্রকল্প অনুমোদনের পর পাঁচ মাসের অল্প সময়ের মধ্যেই প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এটি প্রতিদিন আনুমানিক 4.83 কোটি চিপ তৈরি করবে। এই প্ল্যান্টের বিশেষ বিষয় হল এই প্ল্যান্টে ব্যবহৃত তিনটি প্রধান প্রযুক্তিই ভারতে তৈরি করা হয়েছে। টাটা প্ল্যান্টে তৈরি চিপটি বৈদ্যুতিক যান সহ বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক অবকাঠামো, 5জি, রাউটার ইত্যাদি তৈরির প্রতিটি বড় কোম্পানি এই চিপ ব্যবহার করবে।
৮৫ হাজার সুযোগ পাবেন
সেমিকন্ডাক্টর একটি মৌলিক শিল্প। যখনই একটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট আসবে, প্রচুর সহায়ক কাজ তৈরি হবে। এর কারণ ইকোসিস্টেম এতটাই জটিল যে মূল ইউনিট আসার সাথে সাথে অনেকগুলো ইউনিট অস্তিত্বে আসে। মন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে ভারত সেমিকন্ডাক্টর মিশনের একটি বড় অংশ হল ৮৫,০০০দক্ষ পেশাদার প্রস্তুত করা এবং উত্তর পূর্বের নয়টি প্রতিষ্ঠান এটির উপর কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আসামের এনআইটি শিলচর, এনআইটি মিজোরাম, এনআইটি মণিপুর, এনআইটি নাগাল্যান্ড, এনআইটি ত্রিপুরা, এনআইটি আগরতলা, এনআইটি সিকিম, এনআইটি অরুণাচল প্রদেশ এবং মেঘালয়ের দুটি প্রতিষ্ঠান – নর্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি এবং এনআইটি – সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের প্রতিভা বিকাশে জড়িত। হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সর্বদা ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির উপর জোর দিয়েছেন এবং আমাদের সেমিকন্ডাক্টর প্রোগ্রামের একটি বড় মাইলফলক আজ আসামে অর্জিত হয়েছে, যেখানে একটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট নির্মাণ শুরু হয়েছে।