জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় (Militant threat) বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার সর্বত্র পুলিশ ও বিশেষ রিজার্ভ ফোর্স মোতায়েন করা শুরু করল। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা (Durga Puja) তিথি মেনে শুরু হয়েছে। শুক্রবার পঞ্চমীর রাত থেকে রাজধানী ঢাকা সহ সব বিভাগীয় শহর ও প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী মল্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, বনানী, ধানমন্ডিতে থাকছে সশস্ত্র পাহারা। চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, রাজশাহির সব পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার কড়াকড়ি।
- ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান,জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে।
- অন্তত ৫০ জন জঙ্গি তৈরি হয়েছে হামলার জন্য।
- প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি রাখতে হবে।
খবর বিস্তারিত পড়ুন
দুর্গাপূজার মুখেই বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদে তথা আইজিপির দায়িত্ব নিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি বিদায়ী আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের এর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
পূজা শুরুর আগেই বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজকে শুভেচ্ছা দেন। তিনি বলেন সব পূজা মণ্ডপে থাকবে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের বাহিনী।
বিবিসি জানাচ্ছে, গতবছর বাংলাদেশে দুর্গাপূজা ছিল ভয়াবহ। সাম্প্রদায়িক হামলায় রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। কুমিল্লায় এক পূজা মণ্ডপে কোরান রেখে ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করা হয়। এর জেরে বাংলাদেশ জুড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত হন। হামলায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পুলিশের গুলিতে হামলাকারী কয়েকজন মারা যায়।
কুমিল্লার সেই ঘটনার পর এবার বাংলাদেশের সব পূজা মণ্ডপে থাকছে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা। এমনই জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।