Bangladesh: নোবেল জয়ী ড: ইউনূসের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়ে পরে আপিলের শর্তে জামিন দিল আদালত। জাতীয় নির্বাচনের আগে ইউনূসের বিচার ঘিরে…

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়ে পরে আপিলের শর্তে জামিন দিল আদালত। জাতীয় নির্বাচনের আগে ইউনূসের বিচার ঘিরে টান টান উত্তেজনা ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত প্রাঙ্গনে। বিরাট নিরাপত্তা বলয় করা হয়। দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিড় উপচে পড়ে।

বাংলাদেশ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে একই আদালত একই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ন্যায়বিচার পাননি। এই মামলার রায়ের দিকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও অর্থনীতি মহল নজর রেখেছিল।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেছিল বাংলাদেশ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দফতর। অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়াও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না।

মামলার অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ না দেয়া এবং ১০১ জন শ্রমিকের চাকরি স্থায়ী না করা। এছাড়া গণছুটি না দেয়া, শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল এবং অংশগ্রহণ তহবিল গঠন না করাও অন্যতম অভিযোগ আছে এই মামলার।

বিবিসি জানাচ্ছে, কারাদণ্ড হলেও এখনি কারাগারে যেতে হবে না ড. ইউনূসকে। তার আইনজীবীরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার শর্তে জামিন চাইলে পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন আগামী একমাসের মধ্যে তাদের ট্রাইবুনালে আপিল করতে হবে।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন ”আমরা বিক্ষুব্ধ, এই রায় অন্যায় এবং আইন বিরোধী। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। রাষ্ট্রপক্ষ কোন কিছু প্রমাণ করতে পারেনি। আপিল কোর্টে আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিকার চাইব।”