আসন্ন শারোদৎসবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুতি পুরোদমে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। ইসলাম অনুসারি সংখ্যাগুরু জনসংখ্যার বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব (Durga Puja) দুর্গাপূজা।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক মহম্মদ ময়নুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও দুর্গাপূজা পরবর্তী-এই তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশের পূজাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় হ়য। পূজায় নিরাপত্তা উপলক্ষ্যে বিশেষ বৈঠকে ছিলেল ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, ঢাকার পুলিশ কমিশনার মহম্মদ মাইনুল হাসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রধান মহ. শাহ আলমসহ হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা। জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম বলেছেন, দেশের ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবে। তিনি বলেছেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রোধে পুলিশের সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। অপরাধীরা সাধারণত মধ্যরাতে অথবা শেষ রাতে পূজামণ্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে থাকে।
পূজা চলাকালে সিসিটিভি-আইপি ক্যামেরা সক্রিয় রাখা, প্রতিটি মণ্ডপে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
দুর্গাপূজার সময় সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি সোয়াট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল চালু থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার ব্যবস্থা থাকছে।
সভায় ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী কল্পেশানন্দ।