আমেরিকাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর নির্মাণে বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই খবর সামনে আসতেই কিছুটা খুশির হাওয়া রাজ্যের শিল্প-বানিজ্য মহলে। আর সেই খুশির রেশ ধরেই এবার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লেখেন, “আমি যথেষ্ট সৌভাগ্যবান যে দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর পশ্চিমবঙ্গ একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগল পেতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে বাংলায় সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগের কথা সামনে উঠে এসেছে। এটা আমাদের পক্ষে খুবই ভালো খবর।”
গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজের নের্তৃত্বে রাজ্যে সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে একটি গ্লোবাল ক্যাপাসিটি সেন্টারে কলকাতায় চালু হবে খুব শিগগিরই। রবিবারের দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনার পর এমনটাই জানানো হয়েছে। বিগত কয়েকবছর ধরেই রাজ্যের আইটি বিভাগ, ওয়েবল সেমিকন্ডাক্টর নির্মাণে গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ,সিনপসিস এবং মাইক্রন সহ একাধিক সেমিকন্ডাক্টর নির্মাণকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে এসেছে। তাঁরাও বাংলায় বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। চলতি বছরে কলকাতায় আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ওই সংস্থাগুলির কর্তারা বাংলায় এসেছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গা দেখে রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আসুন পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষা-শিল্পের উন্নত গন্থব্য হিসেবে গড়ে তুলি। এবং আমি আশ্বাস দিচ্ছি পশ্চিমবঙ্গ এই ধরনের উদীয়মান ক্ষেত্রে বিনিয়োগে রাজ্যের সমস্ত সহযোগিতা পাবে বিনিয়োগকারীরা।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে কলকাতায় সেমি-কন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের সেমিকন্ডাক্টর মিশনের অধীনে ভারত সেমি, 3rdiTech ও ইউএস স্পেস ফোর্সের অংশীদারিত্বে সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে।
তারমধ্যে মমতার এই ফেসবুক পোস্ট স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের বৈঠক হোক কিংবা কলকাতার রাস্তায় ধর্ণা বাংলাকে বঞ্চনা নিয়ে সবসময়ই এই মোদী সরকারকেই বারবার কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। এবার মার্কিন মুলুকে সেই মোদীর মুখেই বাংলায় বিনিয়োগের কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পোস্ট, কৌতূহল বাড়িয়েছে রাজনীতিক মহলের।