Attack On Iran: দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সংঘর্ষ? ইরানি ঘাঁটিতে হামলার অনুমতি পেল মার্কিন বাহিনী

যুদ্ধে চলো! এমনই সবুজ সংকেত দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগেই যুদ্ধে নামল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি জানাচ্ছে, ইরানের বিরুদ্ধে হামলার (Attack On Iran) সবুজ…

যুদ্ধে চলো! এমনই সবুজ সংকেত দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগেই যুদ্ধে নামল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি জানাচ্ছে, ইরানের বিরুদ্ধে হামলার (Attack On Iran) সবুজ সংকেত দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই অনুমতি মার্কিন সংসদে পাস হওয়ার পরেই ধারাবাহিক হামলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে হামলা হবে সিরিয়া ও ইরাকে থাকা ইরানের ঘাঁটিতে। এক্ষেত্রে সরাসরি ইরানের জমিতে হামলা হচ্ছে না। বিবিসি, আল জাজিরা, ফক্স নিউজ, গাল্ফ নিউজের ব্রেকিং ঝড়ে বিশ্ব সরগরম। জানা যাচ্ছে ইরান তাদের সামরিক শক্তিতে সতর্ক করে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিল।

সিরিয়া এবং ইরাকে থাকা ইরানি বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক দিন ধরে এই হামলা চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। কখন কখন হামলা চালানো হবে তা আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।

গত রবিবার সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে একটি ড্রোন হামলায় তিন জন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক নামে পরিচিতি ওই গোষ্ঠীটিতে এমন কিছু সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে যাদেরকে অস্ত্র, তহবিল ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষাবাহিনী রেভোলিউশনারি গার্ডস ফোর্স। মনে করা হচ্ছে, রবিবারের হামলার পেছনে এই গোষ্ঠীর হাত ছিল।

এরইমধ্যে হামলার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। টাওয়ার ২২ নামে পরিচিতি ওই সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ফলে আরো ৪১ জন মার্কিন সেনা আহত হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আধিকারিকরা বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা বিশ্বাস করে যে, সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় যে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল তা ইরানেই তৈরি করা এবং ইউক্রেনে হামলার চালানোর উদ্দেশ্যে রাশিয়ায় ইরান যে ড্রোন পাঠিয়েছে তার সাথে এর মিল রয়েছে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লইড অস্টিন সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, “আমরা যেখানে, যখন এবং যেভাবে চাই, সেভাবেই পাল্টা পদক্ষেপ নেবো।”

বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী , মার্কিন সামরিক বাহিনী খারাপ আবহাওয়ার সময় এই হামলা চালাতে পারে। তবে সাধারণ নাগরিকদের ওপর যাতে হামলার ঝুঁকি এড়ানো যায় এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় বিষয়েও নজর রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার বার ড্রোন হামলার জবাব দেওয়ার কথা বলে আসলেও বাইডেন এবং তার অন্য প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরানের সাথে বড় কোনো যুদ্ধে জড়াতে বা ওই এলাকায় উত্তেজনা আরো বাড়াতে চায় না ওয়াশিংটন।