Attack on Israel: ধর্মীয় দ্বন্দ্বের তত্ত্বেই ইহুদি-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষে দুধ নদীতে রত্ত ঢেউ ওঠে

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র হামলায় তছনছ ইজরায়েল। এমন বিপুল সংখ্যায় রকেট হামলা ইজরায়েলে (Attack on Israel) আগে হয়নি। প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাস দায় নিলেও…

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র হামলায় তছনছ ইজরায়েল। এমন বিপুল সংখ্যায় রকেট হামলা ইজরায়েলে (Attack on Israel) আগে হয়নি। প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাস দায় নিলেও প্রশ্ন উঠছে তাদের পিছনে কারা? গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। কারণ সামরিক ও প্রযুক্তির ক্ষমতায় দেশকে সুরক্ষিত রাখার প্রবল দাবিদার ইজরায়েলের উপর রকেট বৃষ্টি হয়। এই হামলা ইজরায়েলের দম্ভে আঘাত বলেই দাবি করছে প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলি। প্রাচীন নগরী জেরুজালেম জুড়ে বেজেছে বিপদ ঘণ্টা।

Isreal : ফিলিস্তিনি হামাসের ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বলছে ইজরায়েল

   

এমনই এক ঘণ্টা ধ্বনিতে উল্লসিত হয়েছিল ছিন্নমূল ইহুদি। কারণ তারা পেয়েছিল তাদের পৌরাণিক গাথা অনুযায়ী বর্ণিত দুধ ও মধু বয়ে যায় ভূখণ্ডের বসবাসের অধিকার। সেই ঘণ্টা ধ্বনিতেই নিজ জমি হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রনায় আরব জাতি শক্ত চোয়াল চেপে ‘দেখে নেব’ বলে সরে গেছিল। সেই তারিখ হল ১৯৪৮ সালের ১৫ মে। এই তারিখেই জন্ম হয় আধুনিক ইজরায়েলের।

আরব কেটে ইজরায়েলের গঠনের পর থেকে দ্বন্দ্বের নতুন মোড়। একপক্ষ আরব জাতি-যারা প্যালেস্টাইন ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থক। তাদের প্রতিপক্ষ ইজরায়েল ও ইহুদিরা। দুই পক্ষ প্রাচীন নগরী জেরুজালেমকে তাদের দেশের রাজধানী চিহ্নিত করেছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে বহুবার বিশ্ব গরম হয়ে়ছে। ক্রমে ইজরায়েল নিজেকে চরম শক্তিশালী করেছে। আর ফিলিস্তিনিরা চলে গেছে গেরিলা হামলার রাস্তায়। এই দ্বন্দ্বেই আছে ফিলিস্তিনিদের তরফে বিশ্ব কাঁপানো একের পর এক চোরাগোপ্তা নাশকতা বা বিমান অপহরণের মতো চরম শ্বাসরোধকারী যে ঘটনাগুলি ও ইজরায়েলের দুরন্ত কমান্ডো অ়ভিযান, গুপ্তচর বিভাগের সফলতা।

এই সংঘর্ষ পরিস্থিতি বদলে যায় ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বে। আর প্যালেস্টাইন পায় মার্কিন লবি বিরোধীদের সমর্থন। তবে এই দ্বন্দ্বে ভারত ও ইজরায়েল সুসম্পর্ক যেমন তেমনই প্যালেস্টাইনের পক্ষেও থাকে নয়াদিল্লি। আর পুরো আরব বিশ্বের সমর্থন পায় প্যালেস্টাইন।

ইজরায়েলের নজরে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। আর প্যালেস্টাইনের নজরে হামাস হলো প্রতিরোধের সংগঠন। দশকের পর দশক হামাসের নিয়ন্ত্রণে আছে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত গাজা শহর। এই শহরটি ইজরায়েল কর্তৃক অবরুদ্ধ। হামাস গোষ্ঠি ও ইজরায়েল সেনার সংঘর্ষ লেগেই থাকে। গাজা শহরের উপর বহুবার বোমা হামলা করেছে ইজরায়েল। এছাড়াও ফিলিস্তিনি দখলে আছে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের একাংশ। এখানে প্যালেস্টাইন সরকারের প্রধান দফতর হলো রামাল্লা শহরে। তবে হামাসের সাথে রামাল্লার ফিলিস্তিনি শাসক গোষ্ঠির বিরোধিতা আছে। রামাল্লা ঘিরে রাখে ইজরায়েলের সেনা। অভিযোগ, ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন জীবনকে জবরদস্তি নিয়ন্ত্রণ করে ইজরায়েল। জেরুসালেম শহরে এই পরিস্থিতি চরম বাস্তব।

আরব ও ইহুদি জাতির মধ্যে যে সংঘর্ষ তাতে  মিশেছে আরবভুক্ত ফিলিস্তিনি ও অ-আরব ইহুদিরা। অবিরাম সংঘর্ষ চলছে। ধর্মগ্রন্থে বর্নিত দুধ মধু বয়ে যায় এমন দেশে রক্তের ঢেউ ওঠে।