Japan: ১৫৫ বার ভূমিকম্পের পর সুনামি আঘাত, জাপানে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

২০২৪ সালের প্রথম দিনে জাপানে ধারাবাহিক শক্তিশালী ভূমিকম্পের (Japan Earthquake) পর কমপক্ষে ৩০ জন মারা গিয়েছেন। এখনও কর্তৃপক্ষ বিপর্যয়ের তীব্রতা মূল্যায়ন করতে লড়াই করছে। সোমবার…

Japan earthquake update

২০২৪ সালের প্রথম দিনে জাপানে ধারাবাহিক শক্তিশালী ভূমিকম্পের (Japan Earthquake) পর কমপক্ষে ৩০ জন মারা গিয়েছেন। এখনও কর্তৃপক্ষ বিপর্যয়ের তীব্রতা মূল্যায়ন করতে লড়াই করছে। সোমবার থেকে, দ্বীপরাষ্ট্রটি ১৫৫ টির মতো ভূমিকম্পের আঘাত হেনেছে, যার মধ্যে একটি প্রাথমিক ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প এবং আরও একটি ৬ মাত্রার বেশি, জাপান আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

প্রাথমিক ভূমিকম্পের পরপরই কর্তৃপক্ষ সুনামি (Japan Tsunami) সতর্কতা জারি করে। সতর্কতা অনুযায়ীই জাপানে ভূমিকম্পের পর ৫ ফুটের মতো উচ্চতর ঢেউ আছড়ে পড়ে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার প্রায় ৩৩,০০০ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন এবং প্রধান মহাসড়ক সহ সারাদেশে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যার ফলে চিকিৎসাসেবা এবং সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

প্রাথমিক ভূমিকম্পটি ৭.৬ মাত্রার ছিল, যা সোমবার বিকেলের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে। জাপানের পশ্চিম উপকূলে সুনামি আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে উচ্চ ভূমিতে আশ্রয় নেন। এরপরে সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়লে বাড়ি থেকে গাড়ি সমুদ্রে ভেসে যায়।

জাপানের দূরবর্তী নোটো উপদ্বীপে (Noto Peninsula) হাজার হাজার সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে। জাপানে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই নোটো উপদ্বীপ। এছাড়া রানওয়েতে ফাটলের কারণে এলাকার একটি বিমানবন্দর বন্ধ বর্তমানে। অন্য দিকে ক্ষতিগ্রস্ত ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, ওই এলাকায় অনেক রেল পরিষেবা এবং ফ্লাইটও স্থগিত করা হয়েছে।

Japan earthquake

জাপানের পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে যে ৪ টি এক্সপ্রেসওয়ে, ২ টি উচ্চ-গতির রেল পরিষেবা, ৩৪ টি স্থানীয় ট্রেন লাইন এবং ১৬ টি ফেরি লাইন বন্ধ করা হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে ৩৮ টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, রয়টার্স রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে। জাপানের আবহাওয়া অফিস অবশ্য সতর্ক করেছে যে আগামী দিনে জাপানে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে।

সোমবারের ভূমিকম্প এবং তার পরবর্তী একাধিক ক্ষয়ক্ষতির মাত্রার খবর এখনও প্রকাশ্যে আসছে। খবরের ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দরে তলিয়ে যাওয়া ভবন, ডুবে যাওয়া নৌকা, অসংখ্য পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর এবং রাতভর তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিহীন স্থানীয়রা। অ্যারিয়্যাল সংবাদ ফুটেজে সুজু শহরের মাছ ধরার বন্দরে ডুবে যাওয়া নৌকাগুলোকে দেখা গেছে।