স্কুলে যাওয়ার সময় ১০ বছরের ছাত্রকে কুপিয়ে খুন। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে চিনের শেনজেনে। জানা গিয়েছে এই বালক চিনের একটি জাপানি স্কুলের ছাত্র। বুধবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জাপানের সরকার।
অপর দিকে, চিনের অধিকর্তারা জানিয়েছেন যে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা নাগাদ বিদ্যালয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিল ১০ বছরের এই বালক। ঠিক সেই সময় ৪৪-বয়সী একজন তাকে হামলা করে। গুরুতর আহত হয় ১০-বছরের ছাত্র। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া সাংবাদিকদের জানান যে বুধবার হামলার শিকার হওয়ার পর, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। বিদেশমন্ত্রী কামিকাওয়া বলেন, “আমি এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এরম ঘটনা কখনও কোনও দেশে যেন না হয়। বিশেষ করে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে স্কুলে যাওয়ার পথে একটি শিশুর উপর এই ঘৃণ্য কাজটি করা হয়েছে।”
বিদেশমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া আরও বলেছেন যে জাপান ইতিমধ্যেই চিনের থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ চেয়ে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেও বলা হয়েছে।
জাপান এবং চিন কেউই মৃত ছাত্রের জাতীয়তা প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। তবে শেনজেন জাপানিজ স্কুলের ওয়েবসাইট বলছে এই বিদ্যালয় জাপানের শিশুদের জন্য। জাপান প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দুটো নাগরিকত্ব স্বীকার করে না।
১৯৩১ সালে এক ঘটনার জেরে শুরু হয় চিন এবং জাপানের মধ্যে যুদ্ধ। সেই দিনের ঘটনার বার্ষিকী পালনের দিনেই স্কুলের কাছেই এই হামলা হয়। বর্তমানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক যখন অবনতির পথে, তখন এই তারিখ খুবই সংবেদনশীল। গত কয়েক মাসের মধ্যে চিনের জাপানি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে এটি দ্বিতীয় হামলা।
জাপানের প্রধান ক্যাবিনেট সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর এই ঘটনার প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।