TMC: এবার কি জাকিরের জেল ? তৃণমূলের ভিতর চলছে প্রবল আলোড়ন

জঙ্গিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বিপুল সম্পত্তির পুরো হিসেব খতিয়ে দেখতে চান আয়কর আধিকারিকরা।

Jakir-Hosain

কোটি কোটি টাকার উৎস কি? জঙ্গিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বিপুল সম্পত্তির পুরো হিসেব খতিয়ে দেখতে চান আয়কর আধিকারিকরা। বিধায়ককে কলকাতায় নথিপত্র সহ তলব করা হয়েছে।

এদিকে জাকির হোসেনকে তলব করার পর থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা তৃণমূলের ভিতর চাপা ভয় এবার কি বিধায়ককে গ্রেফতার করা হবে। রাজ্য তৃণমূলের অন্দরেও চলছে একই আলোচনা। সূত্রের খবর, আইনি সাহায্য নিতে বিশিষ্ট আইনজীবীদের নামাচ্ছেন বিধায়ক। দল থেকে মিলেছে সবুজ সংকেত।

বিধায়ক জাকির হোসেন দাবি করেছেন তাঁর অফিস ও বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ১১ কোটি টাকা আসলে ব্যবসার জন্য রাখা ছিল। এক্ষেত্রে নিজের বিশাল বিড়ি ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে আয়কর তদন্তকারীদের দাবি, আগামী সোমবার জাকির হোসেনকে আয় ব্যয়ের হিসাব ও আয়কর সংক্রান্ত নথি নিয়ে হাজিরা দিতে হবে।

আয়কর দফতর সূত্রে খবর, জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২ কোটি টাকা। আর কারখানা ও চালকলে মিলেছে আরও ৯ কোটি টাকা। টিএমসি বিধায়কের দাবি, আমি কোনও ক্রিমিনাল নই, ব্যবসা করি। বিড়ি কারখানা শ্রমিকদের প্রতি সপ্তাহে নগদে বেতন দিতে হয়। চালকলের জন্য ধানও কিনতে হয় নগদে। তাই নগদ টাকা রাখতে হয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জাকির হোসেনের দাবিতে সন্তুষ্ট নন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিধায়ক জাকির হোসেনের ঘর থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের জেরে বিব্রত শাসক দল। অভিযোগ, ভোট সামনে রেখে বিজেপি কলকাঠি নাড়ছে। আর সিপিআইএমের দাবি, মুর্শিদাবাদে টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার ছক বানচাল হয়ে গেছে তৃণমূলের।