রাজ্যে শেষ হয়েছে পুরভোট। বুধবার এই পুরভোটের গণনা। প্রবল ভোট সন্ত্রাসের যে ছবি ধরা পড়েছিল তার ভিত্তিতে বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, এই রায় জনতার দেওয়া নয়। সিপিআইএম, কংগ্রেস ভোট লুঠের প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।
ভোট বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাপ্পা রিগিংয়ের যে ছবি এসেছিল তার মধ্যে যতটুকু ভোট হয়েছে সেটার ভিত্তিতে বিরোধী শক্তি হিসেবে সিপিআইএমের উত্থান হতে চলেছে। বিধানসভায় বিজেপি বিরোধী দল হলেও তারা নামছে তিন নম্বরে।
সম্প্রতি রাজ্যে হওয়া সবকটি নির্বাচনেই তৃণমূল জয়ধ্বজা উড়িয়েছে। পুরনিগম ভোটের পর একই ছবি এসেছে পুরসভার ভোটেও।
২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি কেন্দ্রে হওয়া পুরভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস, অশান্তির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, ১০৮ পুরসভা ভোটে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে, বাকি শান্তিপূর্ণই হয়েছে।
কমিশনের এহেন ঘোষণাকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। কমিশন আরও জানায়, ভোট ঘিরে হাজারের মতো অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫১ জনকে
পুরভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দেয়। একাধিক জায়গায় বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান। তবে দলীয় সংগঠন না থাকায় বনধ ব্যর্থ হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিরোধীদের অস্তিত্ব নেই রাজ্য। পুরসভার ভোটের ফলে প্রমাণ মিলবে। তবে টিএমসির বিশ্লেষণ রাজ্যে বামফ্রন্টই আগামী বিরেধী শক্তি হতে চলেছে।
বুধবার ভোটের গণনা হবে। স্ট্রংরুমগুলি ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরসভা নির্বাচনের নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। রাজ্য পুলিশই দায়িত্ব সামলাবে। গণনা নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে, তা নিশ্চিত করতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন।