Attack on ED: বাংলাদেশ থেকে আসা সন্দেশখালির শাহজাহান, বাম-তৃণমূল আবার ‘গোপনে বিজেপি’!

রেশন দুর্নীতির তদন্তে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে জেলাপরিষদ মৎস্য কর্মাধক্ষ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার আগেই আক্রান্ত (Attack on ED) হন ইডি অফিসাররা। নিরাপত্তারক্ষীরা মার খেয়ে…

Sandeshkhali

রেশন দুর্নীতির তদন্তে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে জেলাপরিষদ মৎস্য কর্মাধক্ষ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার আগেই আক্রান্ত (Attack on ED) হন ইডি অফিসাররা। নিরাপত্তারক্ষীরা মার খেয়ে রক্তাক্ত হয়ে পালায়। কে এই শেখ শাহজাহান?

সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ। সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে এসেছিল শাহজাহান। এলাকাবাসীর একাংশ বলছেন, যে দল যখন সরকারে থাকে সেই দলের হয়ে যায় শেখ শাহজাহান। আপাতত তৃণমূলের নেতা। তবে ওর সালে গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির বিশেষ ঘনিষ্ঠতা আছে। শাহজাহান ও বিজেপির গোপন সম্পর্কের কারণ টাকা!

   

শেখ শাহজাহান সন্দেশখালি ১-ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ। এ রাজ্যে বাম জমানার শেষ দিকে শাহজাহান ছিল বাম শিবিরে। পরে তৃণমূল শিবিরে। তবে বাম জমানায় তার ভেড়ি কারবার শুরু। ততকালীন কিছু নেতা ও বিধায়কের সাথে বিশেষ সক্ষতা ছিল। সরকার পাল্টাতেই শাহজাহান তৃণমূলে সামিল হয়। খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হয় শাহজাহান।

অভিযোগ, সীমান্তের পাচার কাজে জড়িত শাহজাহান। আরও অভিযোগ, তার সাথে বিএসএফ ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবির কিছু সংযোগ আছে। এজেন্ট মারফত এই সংযোগ করে শাহজাহান। অভিযোগ, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত চোরাচালানে শাহজাহানের ‘নিজস্ব দল’ খাটে। এই নিজস্ব দল হলো এমন কিছু ছেলে ও মেয়ে যারা সীমান্ত চোরাচালানের বিশেষ অভিজ্ঞ। শাহজাহানের বিরুদ্ধে কাঠ ও গরু পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মানুষ পাচারের অভিযোগো রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। তবে সবই অভিযোগ। শেখ শাহজাহানের দাবি, এসব ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার।

শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি অভিযানে শাহজাহানের অনুগামীদের রোষ দেখা গেছে। কীরকম তার প্রভাব টের পেলেন ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের মারধরের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। তদন্তকারীরা যদি অকুস্থলে মার খান, তবে তদন্ত হবে কীভাবে?” তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক ও জওয়ানদের প্ররোচনাতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।