ওওও দিলীপবাবু…মহারাজকীয় ভোজে বাদ পড়লেন কেন: কুণাল

সৌরভের বাড়িতে খেতে ডাক পাননি (Dilip Ghosh) দিলীপ ঘোষ এ নিয়ে তীব্র চর্চা চলছে রাজনৈতিক অন্দরমহলে। অমিত শাহের দু’দিনের বঙ্গ সফরে বিশেষ আকর্ষণ ছিল বিসিসিআই…

সৌরভের বাড়িতে খেতে ডাক পাননি (Dilip Ghosh) দিলীপ ঘোষ এ নিয়ে তীব্র চর্চা চলছে রাজনৈতিক অন্দরমহলে। অমিত শাহের দু’দিনের বঙ্গ সফরে বিশেষ আকর্ষণ ছিল বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের  (Sourav Ganguly)  বাড়িতে নৈশভোজ। যা ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে তৃণমূল-বিজেপি।

শুক্রবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এবং রাজ্য বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। কিন্তু দেখা যায়নি বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এ নিয়ে কটাক্ষ বাণে জর্জরিত দিলীপ।

রাজনীতির বাইরেও অমিত শাহের সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক নিয়ে সকলের জানা। কিন্তু বাকি বিজেপির নেতারা কী করছিলেন? প্রশ্ন তুলে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

কুণাল ঘোষ লেখেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিখ্যাত ক্রিকেটারের বাড়ি যেতেই পারেন। ব্যক্তিগত সম্পর্ক। প্রশ্ন, বিজেপির অন্য নেতারাও কি আমন্ত্রিত ছিলেন, নাকি, নেতার পিছনে ঘুরতে ঘুরতে বিনা আমন্ত্রণে ঢুকে খেতে বসে গেছেন? কাশীপুরে মৃত্যু নিয়ে দিনভর কুৎসা আর কুম্ভীরাশ্রুতে যা পরিশ্রম গেল!!”

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় কোথাও আমন্ত্রণ পান না কুণালবাবু। সেই হতাশা থেকে এই ধরনের টুইট।

এ যেন বিতর্কে ঘৃতাহুতি দেওয়ার সমান। আরও একটি ট্যুইটে এবার সরাসরি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কুণাল। তিনি লিখেছেন, “ওওও দিলীপবাবু, সামাজিক-অসামাজিক তালজ্ঞান হারালেন? শুধু মহারাজকীয় ভোজে বাদ পড়ে? আমার প্রচুর নেমতন্ন থাকে। না ডাকলে যাই না। ডাকলেও সর্বত্র যেতে পারি না। আপনি কাল বাদ কেন? আর দাগি? আপনার দিল্লির দাদার কী কী মামলা ছিল, তালিকা দেব? নিন, ফের ছবি দিলাম। শকে স্মৃতি হারিয়েছেন বুঝি!”

সূত্রের খবর, সৌরভের বাড়িতে আসার জন্য আগে থেকেই ইচ্ছাপ্রকাশ করেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার যখন উত্তরবঙ্গের কর্মসূচিতে অমিত শাহ ব্যস্ত, তখন থেকেই সমস্ত ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যুর খবরে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ে। মৃত অর্জুনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সন্ধ্যায় সৌরভের বাড়িতে খেতে যান অমিত শাহ।