ভূমধ্যসাগরে গ্রীস-তুরস্ক যুদ্ধের দামামা, কোন দিকে ঝুঁকছে ভারত…

এবার মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায়। দ্বীপপুঞ্জের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে গ্রিস-তুরস্ক। সমুদ্রে নৌসামরিক তত্পরতা বাড়িয়েছে দুটি দেশই। এদিকে তুরস্কের অভিযোগ, তুরস্কের পশ্চিম উপকূলে…

Modi turkey

এবার মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায়। দ্বীপপুঞ্জের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে গ্রিস-তুরস্ক। সমুদ্রে নৌসামরিক তত্পরতা বাড়িয়েছে দুটি দেশই। এদিকে তুরস্কের অভিযোগ, তুরস্কের পশ্চিম উপকূলে সেনা মোতায়েন করেছে গ্রিস৷ বাড়িয়েছে সামরিক তত্পরতা। পাশাপাশি রাশিয়া থেকে আমদানি এস-৩০০ দিয়ে তুরস্কের যুদ্ধ বিমানর ওপর নজরদারি চালাচ্ছে গ্রিস। আর এতেই ওই এলাকায় বেড়েছে উত্তেজনা।

BJP West Bengal: সৌমিত্রর নজরে ‘ব্যর্থ মুখ’ কে? কাকে সরানোর পক্ষে রায় বিষ্ণুপুরের সাংসদের!

   

অন্যদিকে, গ্রীসের দাবি, তুরস্কের মতো প্রতিবেশীদের প্রতি গ্রিস এরকম আচরণ করে না। এই দিকে দুই প্রতিবেশীর দ্বন্দ্বে বাধ্য ‘নাক গলাতে’ বাধ্য হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই দুই প্রতিবেশীকেই সংঘাত থামাতে বলেছে ইউরোপ। 

সমুদ্রের সীমান্ত নিয়ে সামরিক তৎপরতা দেখা গিয়েছে দুই দেশের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ১৯২৩ সালে লুসানের চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিস আর তুরস্কের বর্তমান সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী লেসবস, চিওস, সামোসের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পেয়েছিল গ্রিস। ১৯৪৭ সালে প্যারিস শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়৷ এই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, গ্রিস বা তুরস্ক একে অপরের নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনও দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জে সেনা মোতায়েন করতে পারবে না৷ কিন্তু তুরস্কের অভিযোগ, তুরস্কের পশ্চিম উপকূলে সেনা মোতায়েন করেছে গ্রিস৷ এজিয়ান সাগরকে কেন্দ্র করে গ্রিস-তুরস্ক উত্তেজনার মূলে রয়েছে একাধিক বিষয়। 

যোগীকে কোণঠাসা করতে উত্তরপ্রদেশ থেকেই সভাপতি চাইছেন মোদীরা?

শুধু তাই নয়, পরোক্ষে নাকি যুদ্ধের হুমকিও দেন এর্ডোগান৷ গ্রিস আর তুরস্ক দুই দেশের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব রাখে ভারত৷ তবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে ভারতের অর্থনীতি এবং বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। 

অতীতে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে তুরস্ক। আর তাতে বেজায় চটেছিল নয়া দিল্লি। তারপরও ২০২২ ইস্তানবুলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সেনা পাঠিয়ে উদ্বারকাজে সহযোগিতা করেছিল নয়াদিল্লি। তারপরও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একই অবস্থানে অনড় থেকেছে তুরস্ক। যারফলে বিগত কয়েক বছরে তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারতের।

Tata: অসমে ২৭ হাজার কোটির সেমি-কন্ডাকটর প্ল্যান্ট গড়তে চলেছে টাটা

অন্যদিকে, কৌশলগত কারণে গ্রীসের সঙ্গে তত্পরতা বাড়িয়েছে ভারত বানিজ্য থেকে একাধিক সামরিক চুক্তিও এথেন্সের সঙ্গে সাক্ষর করে নয়াদিল্লি। যা নিয়ে আবার উদ্বেগও প্রকাশ করেছে তুরস্ক। ভূমধ্য়সাগরীয় অঞ্চলে ভারতের এই নাক গলানো মেনে নিতে পারেনি তুরস্ক। এবার এই দুই দেশের মধ্যে  ভূমধ্যসাগরীয় সংকটে নয়াদিল্লি কোন দিকে ঝুঁকবে সেটাই দেখার।