Jharkhand Operation lotus: হিমন্তের নির্দেশ? কলকাতার সিআইডিকে ঘিরল অসম পুলিশ

একগুচ্ছ অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডে অ-বিজেপি সরকার ফেনতে টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনা হচ্ছে। কলকাতায় চলছে (Jharkhand Operation Lotus) ঘোড়া কেনাবেচা। এর পিছনে জড়িত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।…

একগুচ্ছ অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডে অ-বিজেপি সরকার ফেনতে টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনা হচ্ছে। কলকাতায় চলছে (Jharkhand Operation Lotus) ঘোড়া কেনাবেচা। এর পিছনে জড়িত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এমনই সব অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে কলকাতা থেকে দিল্লি ও গুয়াহাটিতে তদন্ত করতে গিয়ে বারবার বাধা পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি দল। এবার গুয়াহাটিতে তাদের আটক করা হলো। এর আগে দিল্লিতে তাদেরই একটি দলকে তল্লাশি অভিযানের সময় আটকানো হয়।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের সিআ়ইডি দল গুয়াহাটিতে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সিআইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের বিধায়করা অসমে এসেছিলেন সেই ভিডিও  ফুটেজ চাইতে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে উপস্থিত হন সিআইডির আধিকারিকরা। অসম পুলিশ তাদেরকেই আটক করে!

দিল্লির পর গুয়াহাটি কেন বারবার পশ্চিমবঙ্গের সিআইডিকে তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনই প্রশ্ন উঠছে। কলকাতায় এক শেয়ার ব্যবসায়ী এতে জড়িত।তার অফিস থেকে ৪৯ লাখ টাকা পেয়েছে সিআইডি। অভিযোগ এই টাকা অসম থেকে হাত বদল হয়ে এসেছিল। এর পরেই দিল্লি ও গুয়াহাটিতে তদন্ত করতে  গেছে সিআইডি

ঝাড়খন্ডের কংগ্রেস বিধায় কুমার জয়মঙ্গল সিংয়ের দাবি, গত শনিবার হাওড়ায় রাজেশ কাচ্ছাপ ও নমন কোঙ্গারি, ইরফান আনসারি নামে যে তিন কংগ্রেস বিধায়ক বিপুল টাকা সহ ধরা পড়েন তাদের মাধ্যমে আরও বিধায়কদের কিনে নিতে টোপ দেয় বিজেপি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। তবে অভিযোগ উড়িয়ে হিমন্ত জানান, অনেক কংগ্রেস বিধায়ক বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করেন।

ঝাড়খন্ডে অপারেশন লোটাসের জাল পেতেছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ উঠছে। এ রাজ্যে কংগ্রেস ও জেএমএম জোট সরকার ফেলার বার্তা আগেই দেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খন্ড তারপর বাংলা! তাঁর মন্তব্যের পর পরই ঝাড়খন্ডে বিধায়ক কেনা বেচার পরিকল্পনা স্বীকার করেন হাওড়ায় ধৃত ঝাড়খণ্ডি কংগ্রেস বিধায়করা। পরে তাদের সাসপেন্ড করেছে কংগ্রেস।

তাদের জেরা করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি জানায়, ওই তিন ঝাড়খণ্ডি বিধায়ক ঘোড়া কেনাবেচা স্বীকার করেছেন। সিআইডি সূত্রে খবর, গত শুক্রবার ওই তিন বিধায়ককে গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অসম রাজ্য সরকারের তরফে গাড়ি পাঠানো হয়েছিল। সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার জন্য বুধবার দুপুরে গুয়াহাটি উপস্থিত হন সিআইডির আধিকারিকরা। এর জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। 

ঝাড়খন্ডের কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল সিংয়ের আরও দাবি, প্রত্যেক দলবদলু বিধায়কদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা এবং মন্ত্রীপদ।