Panchayat: শাসকের চিন্তা বাড়িয়ে বাংলায় বিজেপির ভোট বেড়েছে ৭৬ শতাংশ

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রক্তপাত এবং প্রায় হাফ সেঞ্চুরি সমান মানুষ হত্যা সত্ত্বেও রাজ্যে বিজেপির পারফরম্যান্স দর্শনীয়।

BJP Witnesses Surge

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রক্তপাত এবং প্রায় হাফ সেঞ্চুরি সমান মানুষ হত্যা সত্ত্বেও রাজ্যে বিজেপির পারফরম্যান্স দর্শনীয়। বিজেপি শুধুমাত্র ১০,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনই জিতেনি, পাশাপাশি বিজেপির ভোটের শতাংশ বেড়েছে ৭৬ শতাংশ। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্যালোচনা সভা করেন দলের নেতারা। এই বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও আগামী দিনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালের তুলনায় বেঙ্গল বিজেপি তিনটি পঞ্চায়েত স্তরেই দ্বিগুণ আসন জিতেছে। ২০১৮ সালে এটি ৫,৬০০টি আসন জিতেছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার।

বিজেপি ২০১৮ সালে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ৫,৭৭৯টি আসন জিতেছিল, যা এই বছর ১০,০০৪-এ বেড়েছে। পাঁচ বছরে ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে, একইভাবে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জয়ী আসনের সংখ্যা আগের ৭৬৯ থেকে বেড়ে ১,০১৮ হয়েছে।

একই সময়ে জেলা পরিষদ পর্যায়ে আসন সংখ্যা ছিল ২২টি, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১টি। এতে বেড়েছে ৪০ শতাংশ। ভোটের হারও ১৩ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। রাজ্য জুড়ে হিংসার বেলেল্লাপনা সত্ত্বেও, ভোটের শতাংশ বেড়েছে ৭৬ শতাংশে।

দলের নেতারা বলছেন যে যদি মোট ভোটার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়ে যেত, তাহলে বিজেপি আরও বেশি আসন পেত, কারণ অনেক আসনে বিজেপি প্রার্থী ৩০০-এর কম ভোটে পরাজিত হয়েছিল।

বাংলা সফরে প্রধানমন্ত্রী, শাহ ও নাড্ডা
অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বাংলায় ফের সমাবেশ ডেকেছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যে হিংসার প্রতিবাদে তিনি ১৯ জুলাই কলকাতায় একটি মহা মিছিলের ডাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগস্ট থেকে বাংলায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রবিবার পর্যালোচনা সভা করেছে বিজেপি। এদিন ২০১৮ সালের ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ফলাফল নিয়েও আলোচনা হয়। একইসঙ্গে, ২০২৪ সালে হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপি বাংলায় কী কী পদক্ষেপ নেবে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করবে তার রূপরেখাও বৈঠকে প্রকাশ পেয়েছে। সংগঠনকে আরও জনমুখী করা, জেলায় সংগঠনের ভিত কতটা মজবুত, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি সাংগঠনিক বৈঠক সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে তা পর্যালোচনা করতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্যালোচনা এবং পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

১৯ জুলাই কলকাতায় হিংসার বিরুদ্ধে মিছিল করবে বিজেপি
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা ১৯ তারিখে কলকাতায় মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হিংসার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে। সবকিছু পরে জানানো হবে।”

সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “অগস্টে আসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর সর্বভারতীয় রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কর্মসূচি রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আমাদের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যাবেন। তারা সাংগঠনিক সভা করবেন। জনসভাও হবে।

বৈঠকে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা ৪২ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সময়ে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উদযাপন করতে, ১৬ আগস্ট ১০০০টি সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সমস্ত বিজয়ী প্রার্থীদের দলের পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হবে। জেলায় প্রার্থীদের নিয়ে স্বাগত সভা করার নির্দেশও দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।