পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ২১ এর নির্বাচনের পর বিলীন হয়ে গিয়েছিল এ রাজ্যের একদা ক্ষমতাসীন দুটি দল৷ বন্ধুত্বের বন্ধনীতে বিধানসভায় কংগ্রেস ফেরত এসেছে। কিন্তু এখনও খাতা খুলতে পারেনি সিপিআইএম। তবে পুরসভার ভোটে বাম শিবির মূল বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে আসে।
বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের পর বাম নেতাদের গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছিল৷ এখন বগটুই নিয়ে সেভাবে আওয়াজ তুলতে দেখা গেল না৷ বরং এই ঘটনার বর্ষপূর্তিতে মিহিলাল শেখদের নিয়ে সভা করে নজর কাড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এরপর খাদিকুলের বিস্ফোরণ ঘটনায় দেখা গেল না বাম নেতাদের৷ ৯ জনের মৃত্যুর পরেও গুটিকয়েক শব্দ ব্যয় করেই জায়গা ছাড়লেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। অথচ বাম জমানায় এটা ছিল শক্ত ঘাঁটি। যদিও সেই দুর্গের পতন হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে। এগরার খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণ ঘটনায় দূরত্ব বজায় রাখা সিপিআইএমের ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শাসক দল তৃণমূলের বক্তব্য, রাম ও বামের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। তাদের গোপন আঁতাতের কারণেই এই অবস্থা। বিজেপিকে জায়গা ছাড়তে গিয়ে বাংলা থেকে বামদের অবলুপ্তি না ঘটে। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একমাত্র বিকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই তত্ত্ব খারিজ করেছেন বাম নেতারা৷ তাঁদের সাফ বার্তা, ইস্যু ভিত্তিক রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে রাস্তায় আছে একমাত্র বামপক্ষ।
খাদিকুল গ্রামে কি যাবে সিপিআইএম নেতৃত্ব ? তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির ভিজিট হয়ে গেছে এই পোড়া মৃতদেহের গ্রামে।