BJP: ‘ধসা রোগে আক্রান্ত দল’, ঘুম উড়েছে কেন্দ্র-বঙ্গ বিজেপি নেতাদের

এ যেন আলুর ধসা রোগের মতো পরিস্থিতি। দলটাকেই পচিয়ে ধসিয়ে দিল, এমনই বার্তা বিভিন্ন জেলায় বিজেপি (BJP) নেতাদের। এদের অনেকেই আদি বিজেপি। দলকে ভালোবেসে রয়েছেন।…

BJP

এ যেন আলুর ধসা রোগের মতো পরিস্থিতি। দলটাকেই পচিয়ে ধসিয়ে দিল, এমনই বার্তা বিভিন্ন জেলায় বিজেপি (BJP) নেতাদের। এদের অনেকেই আদি বিজেপি। দলকে ভালোবেসে রয়েছেন। আর ক্রমাগত ধস নামছে দলে। বিরোধী দল হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করার মতো পরিস্থিতি নেই জানাচ্ছেন নেতারা।

লোকসভা নির্বাচনে বা থেকে ১৮ টি আসন নিয়ে চমক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর ক্রমাগত আলগা হতে শুরু করেছে বিজেপির সংগঠন। সম্প্রতি দুটি আসন খুইয়ে চিন্তা বেড়েছে মুরলীধরের নেতাদের। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের দাবী ৩২ টি আসনে বিজেপি অবস্থা শীর্ণকায়৷ যার অর্থ বিজেপির দখলে থাকা একাধিক আসন এবার হাতছাড়া হতে পারে। আর তাতেই ঘুম উড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের।

   

সূত্রের খবর, সংগঠনকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে ত্রিস্তরীয় বিশেষ পরিকল্পনার কথা ভাবছে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতারা। প্রতিটি আসনে নিয়মিত জনসংযোগে জোর দেবেন দলের নেতারা৷ এরই মধ্যে রাজ্যের প্রথম সারীর নেতারা একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে উজ্জীবিত করবেন। ধীরে ধীরে সংগঠনের রাশ মজবুত হলেই বড় সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা।

সূত্রের খবর, সারা দেশজুড়ে বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে নেমেছে বিজেপি৷ দেশজুড়ে কোথায় সংগঠন কী অবস্থায় রয়েছে তা আন্দাজ করতেই পদ্ম শিবিরের তরফে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে দেশে ১৪৪ টি লোকসভা আসনে বিজেপির অবস্থান একেবারে নড়বড়ে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৭৫ শতাংশ আসন।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নির্বাচনের আগে অন্যান্য দল থেকে নেতারা গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সময় বদলে এখন সেই নেতারাই বিজেপি ছাড়তে শুরু করেছেন। তাই রাজ্যে সংগঠন একবারে আলগা হয়ে পড়েছে বিজেপির।

এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জেলা সফরে নেমে সংগঠনকে মজবুত করার দিকে নজর দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একই ভাবে নেমেছে সিপিআইএম। পুরভোটে সিপিএমের অবস্থান বিজেপিরও উপরে। জেলায় জেলায় ঘুরে সংগঠনকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে চান সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

যদিও কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের দাবি, মোদী সরকারের বিকল্প নেই। কিন্তু তার পরেও কয়েকটি জায়গায় শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে৷ ২৪-এর মহারণের আগে হাতে যথেষ্ট সময় আছে, আমরা নিশ্চিত সম্মিলিত প্রয়াসে সমস্যা দূর করা যাবে৷