মোদীর টাকা ‘নয়ছয়’ নিয়ে হাতাহাতি বিজেপিতে

ভোট মিটতেই ‘নারদ-নারদ’ অব্যাহত বঙ্গ বিজেপিতে। ভোটে ভরাডুবির দোষারোপের পর্ব মিটতে না মিটতেই সামনে এল মোদীর প্রচারে বরাদ্দ বিপুল টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ।  লোকসভা ভোটে প্রচারে…

Photograph of Narendra Modi, Prime Minister of India

ভোট মিটতেই ‘নারদ-নারদ’ অব্যাহত বঙ্গ বিজেপিতে। ভোটে ভরাডুবির দোষারোপের পর্ব মিটতে না মিটতেই সামনে এল মোদীর প্রচারে বরাদ্দ বিপুল টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। 

লোকসভা ভোটে প্রচারে একাধিকবার বাংলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। ভোট মিটেছে, মোদী ফের ফিরেছেন মসনদে। কিন্তু তাঁর প্রচারের টাকা নয়ছয় করা নিয়ে রীতিমতো ধুন্ধুমার বাধল বারুইপুরের বিজেপি কার্যালয়ে। যেন রীতিমতো হাতাহাতি পরিস্থিতি। আর এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে স্থানীয় রাজনৈতিকমহলে।

   

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের ভেতর রণক্ষেত্র চেহারা। চেয়ার তুলে একে অপরের দিকে তেড়ে আসছেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। হুলস্থুল চলছে দলীয় কার্যালয়ে। 

বারুইপুর জায়গাটি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এবার যাদবপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন ড. অনির্বান গাঙ্গুলি। তাঁর প্রচারেই বারুইপুরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য মঞ্চ বাধার নানান সামগ্রী কিনতে কয়েক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই টাকা মূলত কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে প্রচারের জন্য প্রতিটি রাজ্যকে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সেই লক্ষাধিক টাকাই খরচা না হওয়ায় বেচে গিয়েছিল। আর সেই টাকার বড় অংশ বিজেপি নেতারাই আত্মস্যাত্ করেছেন বলে অভিযোগ।

একদিকে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত কর্মীরা ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে। আর তখন ভোটের টাকা নয়ছয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে ‘হাতাহাতি’ যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে দলকে।

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর বঙ্গ বিজেপি অন্তর্কলহ বেড়েই চলেছে। দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেই মুখ খুলেছে দিলীপ, সৌমিত্র খাঁর মতো প্রথম সারির নেতারা। ভরাডুবির জন্য দায়ী একরকম শুভেন্দুকে দায়ী করেছেন তাঁরা। আবার ভোটে বরাদ্দ টাকা নয়ছয় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কৃষ্ঞনগরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ও। তাঁর অজান্তেই দলের লোকেরা টাকা সরিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন।