বন্যা দুর্গত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুখবর আনল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ

কলকাতা, ১১ অক্টোবর: উত্তরবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে (Bengal Education) পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কাউন্সিল ঘোষণা করেছে যে,…

wbchse-announces-relief-for-flood-affected-students-bengal-education

কলকাতা, ১১ অক্টোবর: উত্তরবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে (Bengal Education) পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কাউন্সিল ঘোষণা করেছে যে, বন্যা বা ভূমিধসে যেসব ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ মাধ্যমিকের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র—যেমন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট বা পাস সার্টিফিকেট—হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হয়েছে, তারা বিনামূল্যে ডুপ্লিকেট শংসাপত্র পাবেন।

Advertisements

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই পদক্ষপে স্বভাবতই খুশি ছাত্র ছাত্রীরা। কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা বিনা খরচে তাদের প্রয়োজনীয় নথি ফিরে পাবেন। তবে, এই সুবিধা পেতে হলে ছাত্রছাত্রীদের তাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের (HOI) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

Advertisements

৩,৫৫০ কিলোমিটার নো-ফ্লাই জোন! ভারত NOTAM জারি করতেই পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে লকডাউন জারি

প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন প্রত্যেকটি আবেদন খুঁটিয়ে দেখে নিশ্চিত করে যে তাদের শংসাপত্র বন্যায় খোয়া গেছে। এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে যে সুবিধাটি কেবল প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছেই পৌঁছায়।পশ্চিমবঙ্গে এই বছরের বন্যা ও ভূমিধস অনেক পরিবারের জন্য বিপর্যয় নিয়ে এসেছে।

উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাড়িঘর, সম্পত্তির পাশাপাশি অনেক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা সংক্রান্ত নথিপত্রও জলের তোড়ে ভেসে গেছে বা নষ্ট হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কাউন্সিলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

বাংলায় এই বছরের বন্যা ও ভূমিধস অনেক পরিবারের জন্য বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাড়িঘর, সম্পত্তির পাশাপাশি অনেক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা সংক্রান্ত নথিপত্রও জলের তোড়ে ভেসে গেছে বা নষ্ট হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কাউন্সিলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, আবেদন প্রক্রিয়া সহজ রাখা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের তাদের স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান সেই আবেদন যাচাই করে কাউন্সিলের কাছে পাঠাবেন। এরপর কাউন্সিল দ্রুত ডুপ্লিকেট নথি তৈরি করে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেবে। তবে, কাউন্সিল জানিয়েছে, শুধুমাত্র বন্যা বা ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরাই এই সুবিধা পাবেন।

অন্য কারণে নথি হারিয়ে গেলে সাধারণ নিয়মে ফি দিয়ে ডুপ্লিকেট নথির জন্য আবেদন করতে হবে।শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই পদক্ষেপ শুধু শিক্ষার্থীদের আর্থিক স্বস্তিই দেবে না, তাদের মানসিকভাবে সাহসও জোগাবে। একজন শিক্ষাবিদ বলেন, “বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কাউন্সিলের এই উদ্যোগ তাদের পড়াশোনায় ফিরে আসতে সাহায্য করবে।” তবে, কিছু অভিভাবকের মতে, আবেদন প্রক্রিয়া আরও সরল করা উচিত এবং দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।