হাতুড়ির একটার পর একটা আঘাত পড়ছে আর আসছে উল্লাসধ্বনি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati) এভাবেই ভাঙা হলো প্রধানমন্ত্রী মোদী ও সংঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীর নাম লেখা বিতর্কিত ফলক।
বাঙালির আবেগের সঙ্গে যুক্ত রবীন্দ্রনাথ। আর সেই কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ স্থান ঘোষণা করার পর বসানো হয় এক ফলক। তবে সেই ফলকে কোথাও নাম নেই রবীন্দ্রনাথের। তার বদলে নাম লেখা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ উপাচার্যের। অবশেষে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ ভেঙ্গে ফেলা হলো সেই ফলক। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মাটির সঙ্গে।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পাওয়ার পর বিশ্বভারতীর ততকালীন উপাচার্য একটি ফলক লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই ফলক ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। ফলকে আচার্য মোদী ও উপাচার্যের নাম থাকলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ছিল না। এই ইস্যুকে ঘিরে রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল লাগাতার প্রতিবাদ চালিয়ে গিয়েছিল। ধরনা-মঞ্চ তৈরি হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। সেই ধরনা-মঞ্চের সামনে দেখা গিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরাকেও।
এর আগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ফলক বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রক। বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ ফুরিয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই বিশ্বভারতীর সমস্যা কাটাতে শিক্ষামন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। আর এরই মধ্যে বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে পদক্ষেপ করল শিক্ষামন্ত্রক। ওই ফলক পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে। সেই ফলক আজ ভেঙে ফেলা হল।