দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা প্রায় জলমগ্ন৷ সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ঘাটাল থেকে শুরু করে উদয়নারায়ণপুর, আমতা, ধনেখালি সহ খানাকুলের মতো জায়গাও৷ বিঘের পর বিঘে জমি এখন জলের তলায়৷ বৃষ্টির জলে যখন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ঠিক সেই সময়ে জিভিসিও জল ছেড়েছে৷ যার জেরে পরিস্থিতি একেবারে নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে৷ বন্যার জলে প্লাবিত হাওড়া, হুগলি ও দুই মেদিনীপুর৷ যার জেরে আনাজপত্রের (vegetable price) দাম একেবারে আকাশছোঁয়া৷
চাষের জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়৷ যার প্রভাব পড়েছে সবজির উপর৷ বাজারে সবজির দাম হয়ে গিয়েছে আগুন৷ ফলে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে৷ শনিবার থেকেই কাঁচা সবজি দাম একেবারে আকাশছোঁয়া৷ শনিবার একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। এরপর একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে৷ যার দ্বারা বাজারে সবজির দাম যাতে করে নজরদারি করা যায়৷
বিক্রেতাদের দাবি, বন্যার জেরে সমস্ত চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে৷ ফলে সবজির জোগান তেমন নেই বললেই চলে৷ ফলে গত দুদিনের মধ্যে সবজি-আনাজপাতির দাম কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। বিশেষ করে সামনেই পুজো৷ তাই পুজোর সময়ে আরও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। হাওড়া,হুগলি মেদিনীপুরের মতো জায়গা জলের তলায় রয়েছে৷
কিন্তু বাকী যে সমস্ত জায়গাতে চাষবাসের ক্ষতি হয়নি তাই সেই সমস্ত জায়গা থেকে ফসল আমদানি হতেই পারে৷ কিন্তু এখানেই রয়েছে সমস্যা৷ জানা গিয়েছেষ একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের মতো করে দাম বাড়িয়ে নিয়েছেন। যে সবজি হাটে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে শনিবারও তাই বাজারে এসে ৬০-৭০ টাকা হয়েছে। যার জেরে মধ্যবিত্তের কপালে হাত পড়ে গিয়েছে৷
বাজারে সবজির জোগান কমে যাওয়ায় হু-হু করে বাড়ছে সবজির দাম৷ ঝিঙে,পটল থেকে শুরু করে টম্যাটো, কুমড়ো,বেগুন,ঢেঁড়শের দাম অনেকই বেড়ে গিয়েছে৷ পাইকারি দামের উপর কেজি প্রতি আরও ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বাড়িয়ে তা খুচরো বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পরতে হচ্ছে সাদারণ মানুষকে৷