UNICEF: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে ইউনিসেফ বার্তা, চাপে মমতা

রাজ্যে কবে খুলবে বিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এই প্রশ্নে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। বিরোধীদল বিজেপির অভিযোগ, সরকার খেলা মেলা চালালেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে চাইছে…

mamata banerjee

রাজ্যে কবে খুলবে বিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এই প্রশ্নে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। বিরোধীদল বিজেপির অভিযোগ, সরকার খেলা মেলা চালালেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে চাইছে না। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই মামলা করায় আদালতে প্রশ্নের মুখে মমতা সরকার। এর মাঝে ইউনিসেফের (UNICEF) বিশ্বজোড়া বার্তা দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। ইউনিসেফ বার্তার পর পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কী ব্যবস্থা নেয় এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

ইউনিসেফ জানাচ্ছে, করোনা সংক্রমণের কারণে দুই বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব দেশে সব স্কুল খুলে দেওয়া হোক।

   

রাষ্ট্রসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বিবৃতিতে আহ্বান জানান দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সারা বিশ্বে যখন ছড়িয়ে পড়ছে, এটি যাতে শিশুদের পড়াশোনাকে ব্যাহত করতে না পারে, সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই। ইউনিসেফ বলছে, স্কুলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত।

ইউনিসেফ জানাচ্ছে, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করার থেকে প্রতিটি শিশুকে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সহায়তা, সুরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান। শিক্ষক ও কর্মীদের অবিলম্বে টিকা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ইউনিসেফ সুপারিশে।

ইউনিসেফ বার্তায় আরও অস্বস্তিতে পড়ল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। করোনা সংক্রমণ কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে অভিভাবকদের চাপ আসছে। তেমনই আদালতে সরকারকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।

শি়ক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে এসএফআই সহ বিভিন্ন সংগঠনের জনস্বার্থ মামলায়, আদালতে আরও দু সপ্তাহ সময় চেয়েছে রাজ্য। সরকারপক্ষের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। বিশেষ করে ১৫ বছরের কম পড়ুয়াদের টিকাকরণ হয়নি। কিছু অঘটন ঘটলে দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।