Viswa Bharati: বিশ্বভারতীর আশ্রমিকরা ‘জঞ্জাল’ বলে বিজেপি ঘনিষ্ঠ উপাচার্য প্রবল বিতর্কে

‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার’ তকমা পাওয়ার পরই বির্তকিত মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যের। তিনি সরাসরি আশ্রমিক ও প্রাক্তনিদের নিশানা করলেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এর আগে তাদের…

‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার’ তকমা পাওয়ার পরই বির্তকিত মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যের। তিনি সরাসরি আশ্রমিক ও প্রাক্তনিদের নিশানা করলেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এর আগে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি । তাদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি শোনা গেছিল তার মুখে। এবার ফের আশ্রমিকদের ‘জঞ্জাল’ বলে মন্তব্য করলেন।

 রবিবার শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার’ হিসাবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। সেই উপলক্ষ্যে সোমবার শ্রীনিকেতনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আজ আবার বিশ্বকর্মা পুজো। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও শিল্প উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেইখানেই অংশ গ্রহণ করেন উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে আশ্রমিক রাবীন্দ্রিকদের কার্যত জঞ্জাল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্যের কথায়, এই স্বীকৃতির জন্য প্রাক্তনী আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিকদের কোনও ভূমিকাই নেই। কারণ তারা কোনও সহযোগিতা করেননি। উল্টে গতকালের এই খবর আসার পর আশ্রমিকদের একাংশের প্রশ্ন এই তকমা বিশ্বভারতী কি আদৌ ধরে রাখতে পারবে।উপাচার্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন আশ্রমিক প্রাক্তনীরা কার্যত জঞ্জাল। তারা এই কর্মকাণ্ডের জন্য বা এই স্বীকৃতির জন্য কোনও রকম কোনও সহযোগিতা করেননি।এই তকমার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর্কিওলজি অফ ইন্ডিয়া ও সকল বিশ্বভারতীর কর্মীদের সাহায্যেই এটা সম্ভব হয়েছে। আশ্রমিকরা নেগেটিভিটি ছড়াচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে শান্তিনিকেতনে স্কুল ও ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর পথ চলা শুরু হয়। এরপর ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায় এই বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল রিয়াধ কনফারেন্সে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করে ইউনেস্কো।