পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়তে চাইছে তৃণমূল: তথাগত

 বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলা ইসলামিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব হয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এবার তাঁর মুখে শোনা গেল চাঞ্চল্যকর…

 বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলা ইসলামিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব হয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এবার তাঁর মুখে শোনা গেল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। আর এই প্রয়াস চালাচ্ছে তৃণমূল। এমনই দাবি করেছেন তথাগতবাবু।

গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাঙালিয়ানার জিগির তোলা হয়েছে। যা নির্বাচনী প্রচারেও ব্যবহার করেছে ঘাস ফুল শিবির। বাংলাদেশের জয় বাংলা স্লোগান শোনা যায় তৃণমূলের নেতানেত্রীদের মুখে। সেই সঙ্গে কয়েক বছরে অন্য একটা বিষয় যুক্ত হয়েছে তৃণমূলের রাজনীতিতে। আর সেটা হল অবাঙালি হিন্দিভাষী মানুষদের প্রতি বিদ্বেষ। মূলত উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের হিন্দিভাষী মানুষদের নিশানা করছে বাংলার এক শ্রেণীর মানুষ।

আরও বড় বিষয় হচ্ছে গত তিন থেকে চার বছর সময়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে অনেক বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠনের জন্ম হয়েছে। যারা বিভিন্ন উপায়ে হিন্দিভাষী এবং অবাঙালিদের কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করে থাকে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে সেই সকল সংগঠনের সদস্য সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। অনেক সংগঠনের সভা থেকে তৃণমূলের স্লোগানও শোনা গিয়েছে। যা নিয়েও ওই মন্তব্য করেছেন তথাগত রায়।

শুক্রবার সকালের দিকে ট্যুইট করে তথাগত রায় লিখেছেন, “তৃণমূলের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত কিছু শাখা বাংলা ভাষীদের মাঝে হিন্দি ভাষীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ করছে। ওই সকল অবাঙালিদের ‘গুটখাখোর’, ‘খৈনিখোর’ প্রভৃতি বলে কটাক্ক করা হয়।” এদের দীর্ঘমেয়াদী প্রতারক বলে উল্লেখ করে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল আরও লিখেছেন, “এদের গোপন এজেন্ডা হল পশ্চিমবঙ্গকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যোগ করা।”

<

p style=”text-align: justify;”>দেশভাগের আগে বাংলাদেশ এবং সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ একটিই রাজ্য ছিল। ৪০-এর দশকে সেখানে অনেক সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছিল। যার কারণেই দেশভাগের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা হয় বাংলাকে। পশ্চিমবঙ্গের অনেক জেলা প্রথমে পূর্ব পাকিস্তান(বর্তমান বাংলাদেশ)-এর অধীনে ছিল। পরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধায়ের প্রচেষ্টায় তা ফের ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।