July 21: যুগ আগে শহীদ দিবসে প্রাণ হারানো তৃণমূল কর্মীর পরিবারে মুখে ভাত জোটে না

নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসার। সকাল হতেই ছুটতে হয় লোকের বাড়ির কাজ করতে। মাস শেষে হাতে আসে সামান্য কিছু টাকা। তা দিয়ে চলেনা পেট। তবে এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। স্বামী, মেয়ে নিয়ে ছিল সুখের সংসার।

Kashed Ali Family

নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসার। সকাল হতেই ছুটতে হয় লোকের বাড়ির কাজ করতে। মাস শেষে হাতে আসে সামান্য কিছু টাকা। তা দিয়ে চলেনা পেট। তবে এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। স্বামী, মেয়ে নিয়ে ছিল সুখের সংসার।

short-samachar

   

তবে বছর ১৩ আগে তৃণমূল দলের ২১ জুলাইয়ে (July 21) অংশ গ্রহণ করতে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় স্বামীর। তখন বহু নেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন বাড়ির একজন চাকরি পাবে। সরকার টাকা দেবে পাশে দাঁড়াবে। তবে আজ কোথায় সেই সব আশ্বাস? প্রশ্ন তুলছেন মৃত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী। সব যেন মরীচিকা। কেউ নেই পাশে স্বামী হারা স্ত্রীকে দারিদ্রে জীবন কাটাতে হয়।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই সভাস্থলে জল রুখবে কলকাতা পুরসভা

১৩ বছর আগে ২০১০ সালে তৃণমূলের ২১ জুলাই মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন বহু তৃণমূল সমর্থক। তাদের সঙ্গেই জলপাইগুড়ির বানারহাট থানার দুরামারির তৃণমূল কর্মী কাশেদ আলি। পথে বীরপাড়ার কাছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন কাশেদ। প্রথমে তাঁকে উদ্ধার করে বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর।

এরপর যথারীতি তার বাড়িতে স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে সান্ত্বনা দিতে দলে দলে পৌঁছেছিলেন একাধিক তৃণমূল নেতা নেত্রীরা। তারা আশ্বস্ত করেছিলেন যে বাড়ির একজনকে চাকরি দেওয়া হবে এবং কিছু আর্থিক সাহায্য করা হবে। আজ ১৩ বছর পরে ফের সেই ২১ জুলাই সমাবেশ। তবে এই তের বছরে মেলেনি কোনও চাকরি এমনকি টাকাও।

আরও পড়ুন: TMC: গত একুশ জুলাই সমাবেশের পরেই রাজ্যে টাকার পাহাড়! এবার কী হবে? উদ্বেগে তৃণমূল

মৃত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী গুলজান বেগম বলেন, ‘সামান্য কিছু জমানো টাকা ও মানুষের সাহায্য নিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাই। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রথম দিকে অনেকে খোঁজ খবর নিলেও পরে আর কেউ খোঁজ নেয়নি। কেউ কথা রাখেনি। আমি চাই আমাদের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার একটা ব্যবস্থা করে দিক দল।

এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত ওঁদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে কিছু করার চেষ্টা করব।’