CPIM: নওশাদের মান ভাঙিয়ে যাদবপুরে গোল করতে পারবেন সৃজন?

দশ বছর যাদবপুর তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। তবে কেন্দ্রটি লোকমুখে বাম ঘাঁটি বলে চর্চিত। কারণ, CPIM এর ভোট প্রাপ্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বাম সংগঠনগুলির সক্রিয়তা। গত…

দশ বছর যাদবপুর তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। তবে কেন্দ্রটি লোকমুখে বাম ঘাঁটি বলে চর্চিত। কারণ, CPIM এর ভোট প্রাপ্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বাম সংগঠনগুলির সক্রিয়তা। গত লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকেই একমাত্র জামানত ধরে রেখে লড়াই করে তৃতীয় হয়েছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।  সেই যাদবপুর নিয়ে এবার আশায় বুক বাঁধছেন বাম সমর্থকরা। বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।

যাদবপুর কেন্দ্রের বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের সায়নী ঘোষ ও বিজেপির অনির্বান গাঙ্গুলী। বিশ্লেষণে উঠে আসছে তৃণমূল ও বাম প্রার্থীর মধ্যে লডাই তীব্র। এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল তৃণমূলের সায়নীর সাইকেল চালিয়ে প্রচার। এবার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলো সৃজনের ফুটবল খেলার ছবি। ময়দানে খালি পায়ের ফুটবল খেলার একটি মুহূর্ত ছড়িয়েছে। পোস্টে দাবি করা হয়েছে ছবিটি ২০১৬ সালের।  সেই ম্যাচে সৃজন গোল করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন।

   

লোকসভা নির্বাচনে বাম ছাত্র-যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্য প্রচারে বারবার সামনে আসছেন। নির্বাচনী বিশ্লেষণ বলছে, প্রচারে ঝড় তুললেও ভোটের জটিল অঙ্ক সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সিপিআইএম। এর কারণ, ‘বন্ধু এখন শত্রু’! যে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)- কে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমেস ‘ব্রেন চাইন্ড’ বলে চিহ্নিত করা হয় তারাও যাদবপুরে প্রার্থী দিয়েছে। বাম জোটের শরিক হিসেবে গত বিধানসভায় জয়ী আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি এখন সিপিআইএমের গলার কাঁটা।

দক্ষিণ ২৪পরগনার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রটির অন্তর্গত ভাঙড় বিধানসভাটি আইএসএফের দখলে। ভাঙড়ের ভোটারদের বড় অংশ এবার আইএসএফের অনুকূলে চলে যাবে। ফলে ভাঙড় থেকে হোঁচট খাচ্ছে সিপিআইএম। যদিও অতিবাম সমর্থিত জমি রক্ষা কমিটি সমর্থন মিলবে বলেও মনে করছে সিপিআইএম।

সূত্রের খবর, আইএসএফ নেতা নওশাদের মান ভাঙানোর চেষ্টা করছেন দুই শীর্ষ সিপিআইএম শীর্ষ নেতা। সেই চেষ্টা সফল হবে বলেই মনে করছেন তারা। জেলা ও রাজ্য বাম নেতৃত্বের আশা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবে আইএসএফ।

যাদবপুরের সর্বশেষ বাম সাংসদ ছিলেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি এবার দমদম লোকসভা থেকে লড়াই করছেন। আর সৃজনের মতো তরুণ বাম প্রার্থী এসেছেন যাদবপুরে। বিশ্লেষণে উঠে আসছে, আইএসএফ নিজে জিততে পারবে না। তারা ভোট কাটলে তৃণমূল কংগ্রেসের সায়নী ঘোষের জয়ের পথ মসৃন হবে।