Tmc vs BJP: শাসকদলের দুর্নীতিই প্রধান অস্ত্র! পঞ্চায়েত নির্বাচনের তোড়জোড় বিজেপির

ভোটের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও, বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। এতটুকু খামতি রাখতে নারাজ রাজনৈতিক দলগুলি। গতবারের পঞ্চায়েত ভোটের ঘটনাবলি রাজ্যের শাসক দলকে বিরাট প্রশ্নের…

ভোটের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও, বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। এতটুকু খামতি রাখতে নারাজ রাজনৈতিক দলগুলি। গতবারের পঞ্চায়েত ভোটের ঘটনাবলি রাজ্যের শাসক দলকে বিরাট প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। সেই ঘটনার যাতে কোনোভাবেই পুনরাবৃত্তি না হয়, সেইজন্য কোমর বেঁধে নামতে চলেছে শাসক থেকে বিরোধী, উভয় পক্ষই(TMC vs BJP) । শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগকে সামনে রেখেই আগামী দিনে বিজেপি নির্বাচনের প্রচারে নামবে, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শাসক দলের দুর্নীতিই হবে প্রচারের প্রধান অস্ত্র। পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণনীতি সাজাচ্ছেন সুকান্তরা।  

পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট করেছেন,”পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভের জন্য যা করার দরকার, বিজেপি সেটাই করবে”। পুলিশকে সামনে রেখে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেটাকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়, সেবিষয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে শাসক দলের তরফে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার আগেই প্রচুর সংখ্যক কর্মী নিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি।

   

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির সংগঠন যে একেবারে আলগা ছিল তা বলা যায় না। কিন্তু তারপর থেকে বাংলায় ১৮ টি সাংসদ এবং ৭০ জন বিধায়ক পেয়েছে দল। ফলে আগের থেকে সংগঠন অনেকটা বেড়েছে। তাই এবারের নির্বাচনকে শাসক দলের বিরুদ্ধে রণনীতি স্থির করেই ময়দানে নামছে গেরুয়া শিবির। 

নির্বাচনের প্রচারে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়েও প্রচার করবে বিজেপি। সরকারি প্রকল্পের টাকা যে লুঠের অভিযোগ, তৃণমূলের নেতাদের সম্পত্তির বহর, তাঁদের প্রাসাদ সমান বাড়ি সবটাই থাকবে বিজেপির প্রচারের তালিকায়। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, আগে ভারতবর্ষে একটা তাজমহল ছিল। এখন তৃণমূলের দৌলতে কয়েক হাজার তাজমহল। গ্রামেগঞ্জে সেই তাজমহল লোকে দেখতে যাচ্ছে। কোথাও আবার গোটা বাড়ি যুগের লাভ চিহ্ন আঁকা ‘লাভ হাউস’ প্রধানের বাড়ির নাম। বলা যেতে পারে তৃণমূলের যুগে নেতা মন্ত্রীদের সম্পত্তির সাম্রাজ্য গজিয়ে উঠেছে।

যদিও বিজেপির এই রণনীতিকে কর্ণপাত করতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চেয়েছিল বিজেপি। সেটা করানোর পরেও জয়লাভ করতে পারেনি। ওরা আগেও এধরনের রণনীতি করেছে কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তৃণমূলের দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট যে কোন রকমে রণনীতির সাজিয়েও কোনরকম সুবিধা করে উঠতে পারবে না বিজেপি।