রবীন্দ্রনাথের নোবেল চোর অধরা সিবিআই তদন্তে কটাক্ষ তৃণমূলের

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চুরি যাওয়া নোবেল এখনও কেন উদ্ধার করতে পারল না সিবিআই? আর কত বছর অপেক্ষা করতে হবে? তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে? নোবেল…

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চুরি যাওয়া নোবেল এখনও কেন উদ্ধার করতে পারল না সিবিআই? আর কত বছর অপেক্ষা করতে হবে? তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে? নোবেল পদক উদ্ধার করতে পারবে সিবিআই? স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছে না কেন? এমনই সব প্রশ্ন তুলে এবার সিবিআইয়ের কার্যপদ্ধতি নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস।

শাসকদল টিএমসির দাবি, সিবিআই নোবেল উদ্ধার করতে না পারলে আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হোক। তৃণমূলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন সিবিআই না পারলে বলে দিক। তাহলে এখনও চেষ্টা করে দেখবে রাজ্য পুলিশ। কেন এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায় না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

তৃণমূলের অভিযোগ, ইদানিং সমস্ত কিছুতেই সিবিআইয়ের দাবিতে রব তোলা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ হলেও আদালতের নির্দেশে সাহায্য করা হছে। সিবিআই তদন্ত পেলে যদি খবর হয় তাহলে সিবিআই তদন্তগুলো নিয়েও কথা হোক। দুর্নীতে সিবিআইয়ের এফআইআর নেমড অভিযুক্ত বিজেপিতে নাম লিখিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

তৃণমূলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সিবিআইতে একাধিক দক্ষ অফিসার রয়েছেন। কিন্তু তাঁদেরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে। এবিষয়ে প্রধান বিচারপতি সরব হয়েছেন। ২০১৫ সালে রাজ্য তদন্ত করতে চাইলেও দিল্লির তরফে কোনও উত্তর আসেনি। অর্থাৎ ১৮ বছর পরেও নোবেল ফেরাতে ব্যর্থ সিবিআই।

টিএমসির অভিযোগ, আসলে বিজেপির পরিপূরক হিসাবে সিবিআইয়ের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। সিবিআইকে এত অপব্যবহারের আগে কেন্দ্র বলুক, রবীন্দ্রনাথের নোবেল উদ্ধার হল না কেন। বীরভূমকে টার্গেট করে এতজন সিবিআই অফিসারইকে ছোটানো হচ্ছে আর নোবেল উদ্ধার করা যাচ্ছে না বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণের রবীন্দ্র জাদুঘর থেকে চুরি যায় নোবেল পুরষ্কার। সেইসঙ্গে চুরি যায় অন্তত ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ঘটনার ৬ দিনের মাথায় তদন্তের দায়িত্বভার যায় সিবিআইয়ের ওপর। ২০০৭ সালের পর থেকে সিবিআইকে সেভাবে তৎপর দেখা যায়নি।

বামফ্রন্ট জমানায় এই নোবেল চুরির পর । ২০১৫ সালে ঘটনার তদন্তের জন্য দিল্লির অনুমতি চায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূলের দাবি তাতে বলা হয়েছে যে নোবেল পুরস্কার কোথায় গেল। সিবিআই যাতে নোবেল খুঁজে না পায়, তার জন্য সব অসহযোগিতা রাজ্য সরকার করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজ্য সরকার তদন্তে বাধা করেছে। আজকে জিজ্ঞাসা করছে নোবেল কোথায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুঁজে দিন। উনি তো বলেছিলেন নোবেল কেউ খুঁজে না পেলে, উনি খুঁজে দেবেন। বাংলার সব চুরির সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। নোবেল চুরির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত।