নিয়োগ দুর্নীতির (Job Scam) তদন্তে ঘর তল্লাশির সময় বড়োঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বাড়ির পাঁচিল টপকে পালাতে গিয়েছিলেন। তাকে ধরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যখন জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন মোবাইল হাতে পাননি তারা। মোবাইল পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।পুকুরের পাঁক ঘেঁটে মোবাইলের তথ্য উদ্ধার করেছে ফরেন্সিক দল। সেখানেই একের পর এক বিষ্ফোরক তথ্য হাতে উঠে এসেছে চ্যাটের মাধ্যমে।
জলে ফেলে দেওয়া মোবাইল থেকে চ্যাট সামনে এনেছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা চ্যাট উদ্ধার করেছেন। হেফাজতে থাকা তৃ়ণমূল বিধায়কের সেই মোবাইল থেকে মিলেছে, চাকরি না হওয়ায় ১২ লক্ষ টাকা ফেরত চেয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী। তাকে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আরও বহু মানুষের থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ২০২২ এর ১১ থেকে ১৮ অক্টোবরের দুটি চ্যাট ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। জীবনকৃষ্ণকে দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় এক চাকরিপ্রার্থীকে হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির কথোপকথন সামনে এসেছে।
জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন নথি উঠে এসেছে। বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীর থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিলেছিল। জানা যাচ্ছে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার জন্য ১২ লাখ টাকা নেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া চাকরিপ্রার্থী টাকা চাওয়ায় পুলিশ, এফআইআর করার হুমকি দেন জীবনকৃষ্ণ।