TMC : দাদা-দিদির দ্বন্দে ঘাসফুলে সুখা মরশুম

সামনে কর্পোরেশন ইলেকশন। তার আগে ঘর সামলাতে ব্যস্ত তৃণমূল (TMC)। ক্ষমতার শীর্ষে থাকা দলের নেতারা নিজেদের মধ্যেই শুরু করেছেন কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি৷ ঘাস-ফুল শিবির যেন কোনো…

TMC

সামনে কর্পোরেশন ইলেকশন। তার আগে ঘর সামলাতে ব্যস্ত তৃণমূল (TMC)। ক্ষমতার শীর্ষে থাকা দলের নেতারা নিজেদের মধ্যেই শুরু করেছেন কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি৷ ঘাস-ফুল শিবির যেন কোনো ক্লাসরুম। একজন চুপ করলে অন্যজন খুলছেন মুখ। মহাসচিদের নির্দেশের পরেও উত্তাল তৃণমূল।

শুরুটা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলায় সদ্য সম্পত্তি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেক তখন বলেছিলেন, করোনা আবহে ভোট, মেলা ইত্যাদি বন্ধ হোক এটা ‘আমার ব্যক্তিগত মত’। এরপর যা কিছু ঘটেছে তা আর ব্যক্তিগত নয়। সব কিছুই প্রকাশ্যে।

‘অভিষেকের’ ডাউমন্ড হারবার মডেলের গুণকীর্তন শুরু করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। কুণাল ঘোষও (Kunal Ghsoh) শুরু করলেন একই গান। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়  (Kalyan Banerjee) মমতা-প্রীতির প্রমাণ দিতে সতীর্থকেই শুনিয়ে দিলেন অনেক কিছু। কলকাতার ঝগড়াকেও হার মানিয়েছিলেন কুণাল-কল্যানের শব্দ-যুদ্ধ।

দলের অন্দর থেকে বলা হল ‘চুপ’। চুপ করলেন দু’জনে। মুখ খুললেন মদন মিত্র (Madan Mitra) । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছায়ার বাইরে যে মদনের আলাদা ইমেজ রয়েছে তা অনস্বীকার্য। তিনি সুর চড়ালেন। এবং চড়াতেই থাকলেন। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নির্দেশের পরেও অবাধ্য ছেলে মদন। বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কার্যালয়ে ঢোকাই যায় না। অভিষেক এতই ব্যস্ত যে তাঁর কাছে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীরা পৌঁছতে পারেন না।” পার্থর বিরুদ্ধেও অনুরূপ সুর। কল্যাণ ‘বুড়ো’কে নিয়েও বলেছেন কিছু কথা।

শোনা যাচ্ছে, মদন মিত্রর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে ক্ষোভের মেঘ তৈরি হচ্ছে ধীরে ধীরে। মমতার রাজনৈতিক কেরিয়ারে সর্বদা পাশে থেকেছেন মদন। নিজের খারাপ সময়েও ছাড়েননি তৃণমূল। এক সময় রাজ্যের পরিবহন দফতর তিনি সামলেছিলেন। তারপর দীর্ঘ দিন ছিলেন সাইডলানে। ফিরে এসেছেন নিজের স্টাইলে। কোনো দায়িত্ব না থাকার সময় রাজনৈতিক বোদ্ধাদের একাংশ মনে করেছিলেন নিজের পথ বেছে নেবেন দাপুটে নেতা। কিন্তু তিনি তা করেননি। দলের সঙ্গেই থেকেছেন। দলের হয়েই কথা বলেছেন। মদনের জনপ্রিয়তা বিরোধী দলের তৃণমূল স্তরেও রয়েছে। এই ‘দাদা’রও অনুগামী সংখ্যা নেহাত কম নয়। পুর-নির্বাচনের আগে তাঁর বেসুরো গান ভালো লাগছে অনেক তৃণমূল সমর্থকের। দলের বিভাজন প্রকাশ্যে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাড়াও নিজের ক্যারিশমায় মদন মিত্র। তাঁর কায়দায় প্রতিবেদনের শেষে বলাই যায়- পিকচার আভি বাকি হ্যায়।