Rajib Banerjee: ২০০০ চাকরি বাতিল, এবার সিবিআইয়ের নজরে রাজীব!

এবার কি বন সহায়ক পদে যে নিয়োগ হয়েছিল, তদন্ত করবে সিবিআই? তাহলে কি এবার সিবিআইয়ের নজরে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)।

TMC's Rajib Banerjee Investigated by CBI in Multiple Recruitment Corruption Cases

নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলার এই মুহুর্তে তদন্ত করছে সিবিআই। প্রত্যেকটি মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারই মধ্যে বন সহায়ক পদে ২০০০ জনের চাকরি বাতিলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের পরেই প্রশ্ন উঠছে, এবার কি বন সহায়ক পদে যে নিয়োগ হয়েছিল, তদন্ত করবে সিবিআই? তাহলে কি এবার সিবিআইয়ের নজরে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে রাজ্যের বন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। রাজীবের দলবদলের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এই বন সহায়ক পদে চাকরি দুর্নীতির কথা। বন সহায়ক পদে কারসাজির অভিযোগ রাজীবের বিরুদ্ধে তুলেছিলেন তিনি।

   

তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ক্ষমতা থাকলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দিন। এমনকি মেসেজ ও নিয়োগের জন্য সুপারিশের কথাও উল্লেখ করেন তিনি৷ তবে কী দুর্নীতি সম্পর্কে অবগত ছিলেন রাজীব?

২০২২ সালের ২২ জুলাই রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে ১৭০টি শূন্যপদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা জানানো হয়। এরপর ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য আবারও আদালতে জানায়, মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১৬১। যদিও রাজ্যের রিপোর্টে শূন্যপদের জন্য ১৭০ জনের মেধা তালিকার উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ফের অন্য একটি রিপোর্ট রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর। অভিযোগ, ২০০০ জনের চাকরি দেওয়ার জন্য মাথাপিছু ৮০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল।

বুধবার দুর্নীতির বহর দেখে বিরক্ত প্রকাশ করেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০০ বন সহায়ক পদে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি দ্রুর শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি৷