লোকসভা ভোটে হারলেও জোরদার লড়াইয়ের পুরস্কার! মন্ত্রী হতে পারেন তৃণমূলের এই বিধায়ক

   উপনির্বাচন মিটলেই রাজ্য (TMC) মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা। মন্ত্রিসভায় একাধিক নতুন মুখ আনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেচমন্ত্রী (TMC) পার্থ ভৌমিক সাংসদ হওয়ার তাঁর জায়গাটি…

tmc-despite-losing-the-lok-sabha-vote-the-strong-fight-could-make-this-trinamool-mla-a-minister
  

উপনির্বাচন মিটলেই রাজ্য (TMC) মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা। মন্ত্রিসভায় একাধিক নতুন মুখ আনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেচমন্ত্রী (TMC) পার্থ ভৌমিক সাংসদ হওয়ার তাঁর জায়গাটি খালি হয়েছে। এছাড়াও একাধিক মন্ত্রীর কাজের গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের দফতর বদল করা হতে পারে।

সূত্রের খবর, মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিক। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গেলেও জোরদার লড়াই দিয়েছেন উত্তম।

   

লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর কালীঘাটে আয়োজিত প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত বিশেষ বৈঠকে উত্তম বারিকের ভূয়সী প্রশংসা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, কাঁথিতে বাঘের মতো লড়াই করেছে উত্তম! ওর লড়াই মনে থেকে যাবে। প্রসঙ্গত, সৌমেন্দুর কাছে ৪৭ হাজার ভোটে হেরেছেন উত্তম বারিক।

উপনির্বাচনে বাংলার এই বিধানসভা কেন্দ্রে জিততে পারে সিপিএম

একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কারচুপি করে পূর্ব মেদিনীপুরের দুই কেন্দ্রে তৃণমূলকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো দাবি করেন, বাংলায় ২৯ নয়, ৩৫টি আসনে তৃণমূলের জেতার কথা ছিল। কমিশন ‘রিগিং’ করে কয়েকটি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছে। তমলুক এবং কাঁথি তার মধ্যে অন্যতম।

এদিকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদহ জেলায় তৃণমূল খারাপ ফল করলেও লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় চমকপ্রদ ফল করেছে রাজ্যের শাসকদল। বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর – তিনটি আসনেই জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মুর্শিদাবাদের এক বিধায়ককে মন্ত্রী করতে পারেন মমতা।

ভয়ে কাঁটা রাজ্যপাল! নবান্নকে বিশেষ চিঠি আনন্দ বোসের, কী লিখলেন?

যদিও ঠিক কবে মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, উপনির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর এই রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ জুলাই রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন – বাগদা, রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ এবং মানিকতলা। ১৩ জুলাই ফলাফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। 

দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ২৯টি আসন। বিজেপি ১২টি আসন দখল করেছে। কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও বাংলায় খাতা খুলতে পারেনি বামেরা।

মুসলিমদের পাশাপাশি মতুয়া ভোটব্যাংকের গুরুত্ব বাড়ছে বঙ্গে